বহরমপুর: ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা। এই অশান্ত পরিবেশ ঠিক কতটা আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়েছে তা নিয়েই তথ্য প্রকাশ্যে আনতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন এডিজি, আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা আশ্বস্ত করলেও এই ঘটনায় তিনি গুজবকে বড় শত্রু বলে জানান। এলাকার পরিস্থিতি মোটের উপর স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও গুজব আটকানো যাচ্ছে না, তা স্বীকার করে নিলেন পুলিশকর্তা। এই মর্মে গুজব ছড়ানোয় কড়া পদক্ষেপের কথাও এদিন তিনি জানিয়েছেন।
এদিন জাভেদ শামিম বলেন, ‘‘গত ৩৬ ঘণ্টায় সেই ভাবে কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এডিজে আইনশৃঙ্খলার দাবি, কোনও ঘটনা না জেনে বাইরের রাজ্য থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব বন্ধ করতেই উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে তিনি জানান, মুর্শিদাবাদ-মালদহের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। দোকানপাটও খুলছে। শান্তি বজায় রয়েছে জঙ্গিপুরে।
এই মর্মে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘‘শান্তি ফেরাতে স্থানীয়দের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাহিনীর রুটমার্চ চলছে। এলাকায় যাচ্ছেন উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারেরা”। গুজব ছড়ানো নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “যারা অপরাধ করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে পাতাল খুঁড়ে নিয়ে আসব। আইন মেনে সকলের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হবে। দ্বিতীয়বার যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার প্রচেষ্টা থাকবে।’’ তিনি আরও বলেন, ”গুজব ছড়ানোয় কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হোক, কোনও সংগঠনের হোক, আমরা দেখব না। যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। দরকারে পাতাল থেকে খুঁজে বের করে আনব দোষীদের। কিন্তু শাস্তি দেবই।”
মুর্শিদাবাদে অশান্তির আবহে সুতি, শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের অনেক বাসিন্দাই গঙ্গা পেরিয়ে ও পারে মালদহের বৈষ্ণবনগরে আশ্রয়ে নিয়েছিলেন। জাভেদ শামিম জানান, ঘরছাড়াদের এলাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ কেউ ফিরেওছেন। এই মর্মে তিনি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ১৯ জন ফিরেছেন। আস্থা ফিরলে বাকিরাও এলাকায় ফিরে আসবেন।’’