নয়াদিল্লি: ভূতুড়ে ভোটার(Duplicate Voter)নিয়ে বারবার সুর চড়া করেছে তৃণমূল। দিল্লি, মহারাষ্ট্রে আচমকা বেড়ে যাওয়া ভোটারের সংখ্যা নির্বাচনের ফলাফলেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। ভুয়ো ভোটারের অস্ত্র যাতে ছাব্বিশের নির্বাচনে বাংলায় ব্যবহার না করতে পারে বিজেপি সেইজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল এর প্রতিবাদ করে চলেছে। ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড নিয়ে আলোচনা যাতে রাজ্যসভায় হয়, সে দাবিও বারবার তোলা হচ্ছে। কিন্তু সেই আলোচনা করতে নারাজ কেন্দ্র। এবার তার প্রতিবাদে ওয়াক আউট করল তৃণমূল সহ বিরোধীরা।
Read More: ‘পুতনা, হিড়িম্বা, শূর্পণখা!’ ফের মহিলাদের কুৎসিত কটাক্ষ দিলীপের, আক্রমণ মমতাকেও
বারবার নোটিস দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। গত সপ্তাহে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সপ্তাহে ভুয়ো ভোটার(Duplicate Voter)নিয়ে আলোচনার জন্য স্বল্প সময় বরাদ্দ হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এখনও তা হয়ে ওঠেনি। ফের আবার বৃহস্পতিবার ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড বা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র সংক্রান্ত আলোচনার দাবিতে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের আরও বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব। তা গ্রহণ করেননি চেয়ারম্যান। এদিন ফের প্রতিবাদে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা।

তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ভুয়ো ভোটার কার্ড যে রয়েছে, সেটা প্রমাণিত। ভুয়ো এপিকও থাকবে, আবার সুষ্ঠু নির্বাচনও হবে, দু’টো একসঙ্গে হতে পারে না। বারবার বিভিন্ন নিয়মে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমরা লাগাতার আলোচনার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের একটাই দাবি, সরকার আলোচনা করুক। কিন্তু সরকার সেটা চায় না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ওয়াকআউট করেছি।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1905243688596570131?s=19