পুরুলিয়া: চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ ছৌ(Chhou )নাচের মরশুম। এই সময়ে পুরুলিয়ার গ্রামে, গ্রামে বিভিন্ন মেলায় ছৌ নাচের প্রদর্শন হয়ে থাকে। এবার তাই চৈত্রতেই ছৌ নাচের মুখোশের বরাতের ছড়াছড়ি। এবার পুরুলিয়ার মুখোশ গ্রাম চড়িদায় বনদুর্গা, কৃষ্ণ এবং একেবারে নতুন লুকে কিরাত-কিরাতিনের মুখোশের ছয়লাপ। চৈত্রের একেবারে দোরগোড়াতেই প্রায় কোটি টাকার বরাত পেয়েছেন পুরুলিয়ার মুখোশ গ্রাম চড়িদার হস্তশিল্পীরা। নতুন আর্থিক বছরে মুখোশ গ্রামের অর্থনীতি শিখরে উঠেছে।
Read More: মহাকুম্ভে মৃতের সংখ্যা ‘জানা নেই’! সংসদে মোদী সরকারের নির্লজ্জ উত্তরে শুরু বিতর্কের ঝড়
চৈত্রের সময়ে এসব মুখোশ বিক্রি করেই দোল-হোলিতে প্রায় ২০ লক্ষের ব্যবসা করেছেন শিল্পীরা, জানিয়েছে মুখোশ শিল্পীদের সংগঠন। পুরুলিয়া ছৌ(Chhou )মুখোশ শিল্পী উন্নয়ন সমিতি, চড়িদার সহ-সভাপতি ফাল্গুনী সূত্রধর জানিয়েছেন, ‘‘দোল-হোলির সময় চড়িদা গ্রামের প্রত্যেকটি মুখোশের দোকানে এই দু’দিন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিক্রিবাটা হয়েছে। মোট ১২০টি দোকান রয়েছে চড়িদা গ্রামে। ফলে সব মিলিয়ে এই দু’দিন প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছে। তবে গত বছর আরও বেশি বিক্রি হয়েছিল। ২০২৩ সালে দোল-হোলির সময় সর্বকালের রেকর্ড ছিল। তবে এবার ছৌ নাচের মুখোশ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যেক মুখোশ শিল্পী ব্যাপক বরাত পেয়েছেন।’’

আবার চড়িদা ছৌ মুখোশ শিল্পী সংঘের সভাপতি রমা সূত্রধর বলেন, ‘‘ফি বছরই চৈত্র-বৈশাখ মাসে ছৌ নাচের মরশুমে ভালো বরাত আসছে। কিন্তু এবার যেন অন্য বছরগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে সব।’’
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1902318107735277921?s=19
মনোরঞ্জন মুখোশ হাউসের শিল্পী বিজয় সূত্রধরের কথায়, ‘‘প্রত্যেক ছৌ দলের কাছ থেকে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বরাত মিলেছে এবার। এক একটা দোকান এখনই ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার বরাত পেয়ে গিয়েছে। ফলে বরাতের পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।’’
উল্লেখ্য, এই বিপুল বরাতের জেরে রাত দশটার পরেও ঝাঁপ বন্ধ হচ্ছে না মুখোশ গ্রাম চড়িদার। কাজ চলছেই। পুরুলিয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে এই ব্যবসা। নতুন আর্থিক বছরে এহেন লাভের মুখ দেখে আনন্দিত মুখোশ গ্রাম তথা পুরুলিয়াবাসী।