প্রয়াগরাজ: মহাকুম্ভের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন। একের পর এক দুর্ঘটনার খবর এসেছে মহাকুম্ভ থেকে। পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের। বারবার আগুন লাগার ঘটনাও সামনে আসে। শুধুমাত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নয়, এখন উঠে আসছে তীর্থযাত্রীদের আরও এক সমস্যার খবর। মাঘীপূর্ণিমা উপলক্ষে জনজোয়ার বেড়েছে কুম্ভে। এর মধ্যেই চরমে উঠেছে খরচ। হোটেল থেকে ধর্মশালা- সব জায়গারই ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ স্নান উপলক্ষ্যে প্রয়াগরাজে রিকশা ভাড়া গুণতে হচ্ছে কমপক্ষে হাজার টাকা। হয়রানির শিকার পুণ্যার্থীরা।
মহাকুম্ভ শেষ ফেব্রুয়ারিতে কিন্তু মার্চ পর্যন্ত বুকিং হোটেল। হোটেলের ভাড়া আকাশ ছুঁয়েছে। মহাকুম্ভে প্রতি পদক্ষেপে ফাঁকা হচ্ছে যাত্রীদের পকেট। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক ব্যাক্তি মহাকুম্ভে যান। দীনেশ রানা নামের ওই ব্যক্তির অভিজ্ঞতা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। তিনি জানান, কুম্ভে পৌঁছে তিনি জানতে পেরেছিলেন সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সঙ্গম কুম্ভ থেকে সঙ্গম যেতে রিকশা ভাড়া গুণতে হচ্ছে ১০০০ টাকা। হোটেরগুলি দৈনিক ভাড়ার পরিবর্তে ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া নিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, হোটেলগুলি ঘণ্টায় ১০০০ টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা করে নিচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, মহাকুম্ভে গিয়ে ব্যবস্থাপনা দেখে রীতিমত হতাশ হয়ে পড়েছেন দীনেশ। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, তিনি এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছেন যে মহাকুম্ভে মোক্ষলাভের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুণ্যস্নান না করেই ফিরে আসেন। এই হালহাকিকৎ জেনে তিনি আর সঙ্গমে যাননি। কুম্ভে নেমেও ফিরে যান বাড়িতে। তবে শুধু হোটেল বা রিকশাই নয়, ভাড়া বেড়েছে বিমানের। বিমান ভাড়া বেশি দেখে মুম্বইয়ের এক দম্পতি সম্প্রতী ১২০০ কিলোমিটার পথ বাইকে সফর করে পুণ্যলাভ করেন কুম্ভে গিয়েছে। জলের বোতলের দামও হুহু করে বেডেছে কুম্ভে। ২০ টাকার জলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫- টাকা বা ৬০ টাকায়।
প্রসঙ্গত, কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ৩ ফেব্রুয়ারি হয়েছে বসন্ত পঞ্চমীর স্নান। মাঘীপূর্ণিমার পুণ্যস্নান ছিল। শেষ দিন অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারিতে হবে শিবরাত্রির পুণ্যস্নান। এদিনের পরেও কুম্ভ মেলায় ভিড় বজায় থাকবে। অনেকেই মনে করছেন দোল পর্যন্ত তীর্থযাত্রীদের গন্তব্য হতে পরে কুম্ভমেলা।