ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছে মোদী সরকার। এবার ফের ফুটে উঠল তার প্রতিচ্ছবি। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে চলেছে তারা। তিনটি সরকারি ব্যাঙ্ককে স্টেক বিক্রি করে ফান্ড সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্টের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। ফলত এই সমস্ত ব্যাঙ্কে সরকারের অংশীদারিত্ব আরও খানিক কমবে। যথাক্রমে, ইউকো ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব ও সিন্ধ ব্যাঙ্ক ও ইন্ডিয়ান ওভারসি ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব আগামী অর্থবর্ষের মধ্যেই বিক্রি করে দিতে পারে মোদী সরকার। একটি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বাজার পরিস্থিতি বুঝে কৌশলগতভাবে শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনা করতে বলেছে। পাশাপাশি ইক্যুইটির দর মূল্যায়নের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই বছর বিক্রির পরিমাণ প্রদত্ত ইক্যুইটি মূলধনের ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকবে।
প্রসঙ্গত, সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে মিনিমাম পাবলিক শেয়ার হোল্ডিং নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করার জন্য ২০২৬ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছে সেবি। অন্যদিকে, লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন বা এলআইসি-কেও ২০২৭ সালের ১৬ মে-এর মধ্যে ১০ শতাংশ পাবলিক শেয়ার হোল্ডিং নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২টি সরকারি ব্যাঙ্কের মধ্যে ৭টি ব্যাঙ্ক সেবি-এর নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে। সেগুলি হল : এসবিআই, পিএনবি, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তবে ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও এই শর্ত পূরণ করেনি। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ৯৩.০৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এছাড়া ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রে ৭৯.৬০ শতাংশ, ইউকো ব্যাঙ্কে ৯৫.৩৯ শতাংশ, পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কে ৯৮.২৫ শতাংশ এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে ৯৬.৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তাদের।