ফের বিতর্কের কেন্দ্রে রাজভবন। রবিবার, দেশের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজভবনে চা চক্রের আসর আয়োজিত হবার কথা ছিল। রাজভবনে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়! আর এই নিয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের ওএসডি-এর ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্ধারিত সময় অর্থাৎ সাড়ে চারটের আগেই রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন। প্রত্যেক বছরই এই অনুষ্ঠান হয়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজভবনে আসেন, তখন কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, রাজভবনের অনুষ্ঠানে প্রতি বছর কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড আসে। তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। কিন্তু এবার সেই ব্যান্ডকে দেখতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবনে ঢোকার একাধিক গেট রয়েছে। কে কোন গেট দিয়ে ঢুকবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে বলা থাকে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বাইরের দিকে বেরিয়ে যান, সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যসচিব। যেখানে ব্যান্ডকে আটকানো হয়েছিল, সেখানে পৌঁছে রাজভবনে অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে ব্যান্ডকে নিজে দায়িত্ব নিয়ে ঢোকান মমতা।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশ এলাকাতে যেহেতু রাজভবন, এই অবস্থায় কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে আটকানো অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি ঘটনা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিনের অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। রাজ্যপাল রাজ্যের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। সেখানে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবশেষে পুলিশ ব্যান্ড ভেতরে ঢোকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো ব্যান্ড বাজায়। ঘটনার পরই বিষয়টি নিয়ে নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। “কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড নেই কেন? সাধারণতন্ত্র দিবসের বিকেলে রাজভবনের অনুষ্ঠানে ঢুকেই প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। জানতে পারলেন রাজভবন তাদের ঢুকতে দেয়নি। রীতিভেঙে এবার বাজাচ্ছে সীমা সুরক্ষা বলের ব্যান্ড। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী হেঁটে এগিয়ে যান, কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড নিয়ে ফেরেন, তাদের বলেন কোন্ গান বাজাতে হবে, নিজে দাঁড়িয়ে শোনেন। তখন চলে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপালও”, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।