সোমবার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রাইয়ের আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করেছে আদালত। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজাই চেয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফাঁসির শাস্তি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। মঙ্গলবার মালদহের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ আরও একবার সরব হলেন মমতা। প্রশ্ন তুললেন, এই ধরনের ভিন্ন অপরাধের কেন ফাঁসির সাজা হবে না? বিচারক কী করে বললেন যে এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম নয়? তাঁর কথায়, “আমি মনে করি এটা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা এবং এই ঘটনায় চরম সাজা হওয়া উচিত। কারণ যাবজ্জীবন সাজা হলে অনেকেই প্যারোলে দু’-তিন বছর পর বেরিয়ে যায়।”

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আর জি করের ঘটনার পর আমরাই বলেছিলাম ফাঁসি চাই। এত অত্যাচার করে যদি কেউ দানবিক হয়, সমাজ কীভাবে মানবিক হতে পারে! সমাজকে মানবিক হতে হবে। তবে এই রায়ে আমি শকড। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অপরাজিতা বিল পাশ করেছি। সেখানে আমরা মৃত্যুদণ্ড রেখেছি। অ্যাসিডেও অনেকের মুখ পুড়িয়ে দেয়, সেখানেও আমরা মৃত্যুদণ্ড রেখেছি। কেন্দ্র সেই বিল পাশ করেনি। ফেলে রেখেছে। আমরা চাই সেটা একটা মডেল হোক। দেশ এই বিল মেনে নিক। যাবজ্জীবনে অনেক সময় দু’-তিন বছর পর প্যারোলে বেরিয়ে যায়। তাহলে কি তারা ক্ষমার যোগ্য?” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। “আমি আইন পড়েছি। কিছুটা হলেও আইন জানি। একটা বিচার আমার পছন্দ হয়নি। কী করে বলল এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। আমি বলি, এটা এক ভয়ঙ্কর ঘৃণ্য কাজ! কেউ বেঁচে বেরিয়ে গেলে সে আবার এই কাজ করবে। আমাদের কাজ এটাকে দমন করা”, স্পষ্ট বক্তব্য মমতার।




