বিজেপি জোট-শাসিত বিহারে বিষমদের জেরে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। বহুদিন ধরেই মদ নিষিদ্ধ করার নামে যেন এক মস্ত প্রহসন চলছে বিহারে। একেই মদের চোরাচালানে রাশ টানতে ব্যর্থ প্রশাসন, তার উপরে বিষমদে মৃত্যুও ঠেকানো যাচ্ছে না। চম্পারণ জেলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ জনের। মৃত্যুর শুরু অবশ্য গত বৃহস্পতিবারই। পাটনায় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে খবর এসে পৌঁছায় রবিবার। খবর আসে একজনের মৃত্যুর। পরে জানা যায়, প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অবশ্য মরিয়া পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই ৭ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ট্রাক্টরের ধাক্কায়। আর একজন মারা গিয়েছেন অসুস্থতার কারণে। বাকি ৫ জনের মৃত্যুর কারণ নাকি আদৌ স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।

স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের মুখে এমন আজব কথা শুনে যার পর নেই অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, তাঁরা নিশ্চিত, ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষমদ পান করেই। কিন্তু সবকিছু জেনেবুঝেও কেন পুলিশ বিষয়টাকে ঢাকা দিতে বদ্ধপরিকর, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়, তদন্ত না করেই তাড়াহুড়ো করে দাহ করে ফেলা হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে একের পর এক এলাকা। অভিযোগ ওঠে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। চাপে পড়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নীতীশ প্রশাসন। তদন্তকারীরা অবশ্য প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, ৫ জনের মৃত্যুর কারণ বিষমদ হলেও বাকি দু’জনের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ। কিন্তু দেহগুলি দাহ হয়ে যাওয়ায় আসল কারণ খুঁজতে খুবই সঙ্কটে তদন্তকারীরা। লক্ষণীয়, গত অক্টোবরে বিহারেরই সিউয়ান এবং সারণ জেলায় বিষমদে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৬৫ জনের। সামালই যদি না দিতে পারবেন, তবে ২০১৬ সালে বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিলেন কেন নীতীশ কুমার? মদের চোরাচালানে কি মদত কিংবা প্রশ্রয় রয়েছে শাসকপক্ষের একাংশের? উঠছে এমনই প্রশ্ন।




