জননেতা তিনি। জনসাধারণের ‘কাছের মানুষ’। আমজনতার বিপদে-আপদে বারবারই মুশকিল আসান হয়ে উঠেছেন ডায়মন্ড হারবারের তিনবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গরাজনীতির আঙিনায় সর্বজনবিদিত তাঁর ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’। নতুন বছরের শুরুতেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে ‘সেবাশ্রয়’ স্বাস্থ্য শিবির। স্পেশ্যালিস্ট ডাক্তার থেকে ডায়াগনস্টিক সমস্ত পরিষেবা মিলছে সেবাশ্রয়ে। বিপুল সাড়া পেয়েছে এই শিবির। হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল। এবার ৯ বছর বয়সী আলতাফ হোসেন ঘরামির প্রাণ বাঁচালেন সেবাশ্রয়ের চিকিৎসকরা।শিশুটির জন্মগত হৃদরোগ ছিল। শিশুটির পরিবার পক্ষে তার অস্ত্রোপচারের খরচ বহন করা সম্ভব ছিল না। আলতাফের বাবা তাকে রুটিন চেকআপের জন্য সেবাশ্রয়ে নিয়ে এসেছিলেন। পরে ডাক্তাররা তার অবস্থা দেখে সার্জারির কথা বলেন। অস্ত্রোপচারের পর এখন আলতাফ বিপদমুক্ত রয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিজের এক্স হ্যান্ডলে এই খবর জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ জানুয়ারি, একটি পেডিয়াট্রিক কার্ডিওথোরাসিক এবং ভাস্কুলার সার্জারি (সিটিভিএস) দল, জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ৪ ঘন্টার একটি কঠিন অপারেশন করে। সার্জন, অ্যানেস্থেটিস্ট, নার্স এবং টেকনিশিয়ান সহ ২০-২৫ জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে দলটি আলতাফের জীবন বাঁচাতে বদ্ধপরিকর ছিল। আলতাফের বাবা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। তিনি জানিয়েছেন, “যখন আমি আমার ছেলেকে সেবাশ্রয়ে নিয়ে আসি, তখন সে হাঁটতে পারছিল না। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অভিষেকের সহায়তায় আলতাফের চিকিৎসার জন্য আমাদের এক পয়সাও খরচ করতে হয়নি। আমি কখনোই আমার সন্তানের চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারতাম না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। আমার ছেলে এখন স্থিতিশীল। কথা বলতে পারছে।” একজন কর্তা জানিয়েছেন, আলতাফের অস্ত্রোপচারের জন্য একটি দক্ষ সিটিভিএস দল নিয়ে আসা হয়েছিল। অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন পেডিয়াট্রিক সিটিভিএস সার্জন ডাঃ এমডি রশিদ।




