Mamata Banerjee সম্প্রতিই ওড়িশা থেকে পথ ভুল করে বাংলায় ঢুকে পড়েছিল বাঘিনী ‘জিনাত’। তারপর রাজ্য বন দফতরের উদ্যোগেই জিনাতকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ওড়িশায়। যে পথ রাজ্য সরকার অবলম্বন করেছে, তা দেশের কাছে একটি মডেল হয়ে উঠেছে। তবে সেই স্বীকৃতি বিজেপিশাসিত ওড়িশা থেকে পাওয়া যায়নি। উপরন্তু জিনাতকে সুস্থভাবে ফেরৎ পাঠানোর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের বাংলার সীমানায় বাঘের আতঙ্ক। বাংলার জনজীবন বারবার যেভাবে ওড়িশার বন্যপ্রাণীর কারণে সংশয়ের কবলে পড়ছে, এবার তাতেই ওড়িশা প্রশাসনকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশা সরকারের বাঘের মতো বন্যপ্রাণকে রক্ষা করার ক্ষমতা নেই, অভিযোগ মমতার।
Read More: আতঙ্ক ছড়াবেন না, সতর্ক থাকুন – নতুন ভাইরাস নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা জেলায় ফের গবাদি পশু বন্যপ্রাণীর হাতে মারা যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। ঝাড়খণ্ডের বন দফতর ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি শুরু করে। সম্প্রতি তিন বছরের জিনাতের অত্যাচারে বাংলার পাঁচ জেলার মানুষের জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পরে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়ানোয় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। “ওড়িশা সরকার বাঘ পাঠালে চিরকালের জন্য পাঠাক। আমরা রেখে দিচ্ছি। ওদের জায়গা না থাকলে আমাদের টাইগার রেসকিউ সেন্টার আছে, আমাদের গভীর জঙ্গল আছে আমরা রেখে দিচ্ছি। ওদের রাখবার জায়গা নেই”, সাফ জানিয়েছেন তিনি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1876562486192943241?s=19
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলার বন দফতর যেভাবে জিনাতকে উদ্ধার করে ওড়িশা সরকারের হাতে তুলে দেয় ফের একবার তার ভূয়সী প্রশংসা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, “যে কায়দায় ধরেছে সেটা একটা মডেল। কোনওভাবে বাঘটিতে আহত না করে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন, বাঘটাকে নিয়ে গিয়ে জলের মধ্যে ছেড়ে দিলে। জল পেরোতে কতক্ষণ। আবার একটা চলে এসেছে।” রাজ্যের বনকর্মীদের হয়রানির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাঘের কারণে অসহায়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি তুলে ধরেন, “আমাদের লোকেরা পাঁচদিন ধরে পাঁচ রাত না ঘুমিয়ে। পাঁচটি জেলা বন্ধ রেখে, মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারেনি। স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। সবসময় আমাদের দোষ দেবেন না।” তবে এবার ওড়িশা প্রশাসনকেই তাঁদের বাঘ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। “নিজেদের বন দফতরের দল পাঠান। আর নিজেদের বাঘ উদ্ধার করুন। যাতে আমাদের মানুষ অসুবিধায় না পড়েন। কারণ আমাদের পাঁচ জেলার মানুষ খুব দুর্ভোগে পড়েছেন। বন্যজন্তুদের আমরা ভালোবাসি, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কাজ। তেমনই একটা মানুষের জীবনেরও দাম আছে। মানুষের জীবনও রক্ষা করতে হবে”, বক্তব্য তাঁর।




