Madhya Pradesh বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নারী ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করেছেন একাধিক প্রকল্পের সূচনা। রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপ্রশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রভৃতি প্রকল্পগুলি। ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পটি বিশ্বদরবারেও বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পগুলিকে হীন আক্রমণ করলেও একাধিক রাজ্যে তার অনুকরণ করেছে বিজেপি। তবে এ যে স্রেফ ভোটের রাজনীতি, তা হাতেনাতে বেআব্রু হয়ে গেল আরও একবার। ‘ডবল ইঞ্জিন’ মধ্যপ্রদেশে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ধাঁচে ‘লাডলি বহেনা’ প্রকল্প এনেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই প্রকল্প এখন বন্ধের পথে। নাম নথিভুক্ত বন্ধ রয়েছে ১৬ মাস। ২০২৩ সালের ২০ অগাস্টের পর এই প্রকল্পে আর নাম রেজিস্ট্রেশনই করা হয়নি!
Read More:: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কারণে সন্তানবিয়োগ – মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই ‘বাংলার বাড়ি’ পেলেন বিষ্ণুপুরের তিন পিতা
এই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিজেপির নকল রাজনীতিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তারা সাফ জানিয়েছে, “বিজেপি মহিলাদের সম্মান করতেই জানে না! মেকি আস্ফালন আর ভূরি ভূরি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া বিজেপির কাছে কিস্যু নেই! মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান সরকার বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সাফল্যকে নির্বাচনে কাজে লাগাতে চেয়েছিল। আদতে রাজ্যের মহিলাদের উন্নতিতে যে নজর ছিল না মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের, তা স্পষ্ট হয়ে গেল নির্বাচনে জিতে বিজেপির ক্ষমতায় আসার এক বছর পরেই।” মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোহন যাদব সরকার জানিয়েছে, প্রকল্প ঘোষণা হওয়ার পরে ২০২৩ সালের অগাস্টের পরে আর এই প্রকল্পে কোনও রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ডবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অনুকরণ করে নির্বাচনে লড়তে নামে। রাতারাতি মহিলাদের মাসিক ১ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রকল্প আনে তারা। তবে প্রকল্প শিবরাজ সরকারের হাত ধরে এলেও তা নিয়ে যে এগোতেই পারেননি মোহন যাদব, সাম্প্রতিক তথ্যেই তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1870362241691955475




