Mamata Banerjee আরও একবার প্রকাশ্যে এল বাংলার প্রতি মোদী সরকারের অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ মানসিকতা। আজ, শনিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দরের একশো বছর পূর্তি উদযাপন (১৯২৪-২০২৪)। উদ্বোধন হবে রৌপ্য মুদ্রার (সিলভার কয়েন)। এছাড়া যাত্রীস্বার্থে কলকাতা বিমানবন্দরের একাধিক পরিষেবার উদ্বোধন হবে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। তবে অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি আমন্ত্রণ কার্ডে নাম নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! এমনকী রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব কিংবা পরিবহণমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আর এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টরস ওয়ারকার্স ইউনিয়ন এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এলে তাঁকে বিষয়টি জানান ইউনিয়নের সদস্য এবং দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সম্পাদক বরুণ নট্ট।
Read More: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কোন রেকর্ড করলেন ধনকর? – তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, এদিন বিমানবন্দর চত্বরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই একমুখী আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই আমন্ত্রণপত্রে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নাম থাকা উচিত ছিল।
ইচ্ছাকৃতভাবেই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মনে করছে তারা। গৌরবময় এই অনুষ্ঠান ঘিরে বিমানবন্দরের কর্মীদের মধ্যেও অসন্তোষ ধরা পড়েছে। অভিযোগ, শতবর্ষের উদযাপন অনুষ্ঠান নিয়ে কর্মীদের আগাম কিছু জানানো হয়নি। রাজ্য সরকারকেও আগে থেকে জানানো হয়নি কিছুই। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর একটি গৌরবময় অধ্যায়।

কিন্তু রাজ্য সরকারকে যথাযথ সম্মান দিয়ে আমন্ত্রণ না জানানো অবমাননাকর।” রাজ্যের আর এক মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকায় আমার নির্বাচনী কেন্দ্র। তবু আমার কাছেও কোনও আমন্ত্রণ আসেনি। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ও এয়ারপোর্ট কন্ট্রাকচুয়াল ওয়াকার্স ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় একহাত নিয়েছেন তিনিও। মোদী সরকারকে বিঁধে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “বাংলাকে অপমান করেছে কেন্দ্র। ফলে কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছরের অনুষ্ঠান আমরা বয়কট করছি।” এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের রিজিওনাল সেক্রেটারি (মেট্রো) প্রদীপ শিকদার বলেন, রাজ্য সরকারের জমিতে কলকাতা এয়ারপোর্ট। অথচ শতবর্ষের অনুষ্ঠানে বাংলার নির্বাচিত সরকারকে অপমান করা হয়েছে। তাই প্রতিবাদে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1870396094070304983