বাংলার পর্যটনশিল্পের বহুমুখী উন্নয়নে ইতিমধ্যেই নানান গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পাশাপাশি, জঙ্গলমহলের উন্নতিসাধনেও সমানভাবে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে বড় জায়গা করে নিয়েছে জঙ্গলমহলের জেলা অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রাম। শীতের মরশুম আসতেই প্রতিবারের মতো পর্যটকের ঢল নেমেছে সেখানে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই ঝাড়গ্রামের রবীন্দ্র পার্কে শালগাছের নীচে হচ্ছে লাল মাটির হাট। রবিবার সেখানে সম্পূর্ণভাবে মহিলা পরিচালিত চতুর্থ বর্ষ লাল মাটির হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও জেলাশাসক সুনীলকুমার আগরওয়াল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি-সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, প্রতি রবিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রবীন্দ্র পার্কে বসবে লালমাটির হাট। ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার পর্যন্ত হাট চলবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। লাল মাটির হাটে ৬০টি স্টল রয়েছে। হাটের উদ্বোধন করে জেলাশাসক সুনীলকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘‘এই হাটে মহিলাদের তৈরি নানারকমের জিনিস পাওয়া যাবে বাজার থেকে কম দামে। এছাড়াও জঙ্গলমহলের ঐতিহ্য মাংস, পিঠে-সহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার পাওয়া যাবে।’’ অংশগ্রহণকারী মহিলাদের তিনি বলেন, ‘‘সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত সৃষ্টিশ্রী, সবলা মেলায় অংশ নেবেন আপনারা। জেলা প্রশাসন যাবতীয় সহযোগিতা করবে।’’ মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘শীতকালে ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের ঢল নামে, তাই তাঁদের উপহার দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই লাল মাটির হাটের আয়োজন করা হয়েছে।’’ আয়োজক মহিলাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি পাশে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। ‘‘ঝাড়গ্রামের মহিলারা এত সুন্দর জিনিস বানাতে পারেন তা এই হাটে না এলে জানতেই পারতাম না’’, জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি।