সাম্প্রদায়িকতার আগুনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ওপার বাংলা। এবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। বিধানসভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, “১০ দিন পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ করে আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল প্রতিদিন মিছিল করছে। মিছিল করার অধিকার আছে। কিন্তু সীমান্ত আটকে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে সীমান্তের বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের পরামর্শ মেনেই চলবে।”
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে কলকাতাগামী বাস আটকে দেওয়া হচ্ছে। বেলঘরিয়ার বাসিন্দা এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “আমি কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করছি যাতে তারা ইউনাইটেড নেশনসকে বলে যাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ওখানে একটা পিস কিপিং ফোর্স পাঠানো হোক।” বাংলাদেশে যে সকল ভারতীয়রা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই রাজ্য তৈরি আছে। তাঁদের খাদ্যের কোনও অসুবিধা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে বিবৃতি দেওয়ার কথাও বলেছেন মমতা। তিনি বলেন, এখন সংসদে অধিবেশন চলছে। তাই বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া উচিত। কোনও কারণে যদি তিনি বিবৃতি না দেন, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কিছু বলা উচিত বলে মনে করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।