বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় এখনও নেভেনি জাতিদাঙ্গার আগুন। এই আবহেই ফের মধ্যযুগীয় নৃশংসতার সাক্ষী রইল সে রাজ্যের মানুষ। বৃদ্ধা মা’কে গাছের সঙ্গে বেঁধে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল ২ ছেলে! ইতিমধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে, পশ্চিম ত্রিপুরার চম্পকনগর থানা এলাকায় একটি খামারবাড়িতে। যদিও পুলিশের কাছে খবর আসে বেশ কিছুটা পরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তির পরিণতিতেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ৬২ বছরের ওই বৃদ্ধার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বছর দেড়েক আগে। ওই বৃদ্ধা চম্পকনগরে থাকতেন ২ ছেলের সঙ্গেই। বৃদ্ধার আর এক ছেলে কর্মসূত্রে থাকেন আগরতলায়। মাকে হত্যার অভিযোগে ২ ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার রাতে বৃদ্ধাকে বাড়ির বাইরে আনে ২ ছেলে। তারপরে নিয়ে যাওয়া হয় একটি গাছের নীচে। সেখানে দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা হয় তাঁকে। নিমেষের মধ্যেই বৃদ্ধার গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন।
উল্লেখ্য, ওই রাতেই পুলিশের কাছে খবর যায়, এক বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন অনেকে দেরি হয়ে গিয়েছে। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। গাছের সঙ্গে বাঁধা সেই অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তবে এর মধ্যেই তৈরি হয়েছে নানান সংশয়। পুলিশ যা তথ্য জোগাড় করেছে বা বলছে তা কি আদৌ ঠিক? একটা বাড়িতে তুমুল পারিবারিক অশান্তি হল, কিন্তু টের পেলেন না প্রতিবেশীরা? মাকে যখন রাতের অন্ধকারে টেনে বের করা হচ্ছে তখন তিনি একটুও চিৎকার করলেন না? গাছের সঙ্গে তাঁকে পিছমোড়া করে বাঁধার সময়ও একটুও বাধা দিলেন না মা? কেউ তিলমাত্র টের পেল না ভয়াবহ ঘটনার? এই পুড়িয়ে হত্যার নেপথ্যে কি আরও বড় কোনও রহস্য আছে? কিছু কি আড়াল করতে চাইছে বিজেপির পুলিশ? নাকি তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।