RG KAR মিলে গেল কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পর্যবেক্ষণ। গত ৯ আগস্ট আর জি করের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দিয়েছিলর ধৃত সঞ্জয় রাই-ই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনে মূল অপরাধী। এর কিছুদিন পর ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। আর এবার কলকাতা পুলিশের সুরেই সুর মেলাল সিবিআই। সূত্র অনুযায়ী, সিবিআইয়ের বক্তব্য (একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী), গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেইনি। সঞ্জয় রাই ধর্ষক। তার ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে নির্যাতিতার দেহরসের নমুনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশকে তদন্ত শেষ করতে ৭ দিন সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই হাইকোর্টে মামলা হয়। তদন্তভার পায় সিবিআই। তারপর থেকে এই ২৪ দিনে ধর্ষণ-খুন মামলায় নতুন করে কোনও গ্রেফতার নেই। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুর্নীতির মামলায়। এর মাঝেই যে বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে ভুয়ো ভিডিও, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মানুষকে উসকে দিয়ে, অরাজকতা সৃষ্টি করে রাজ্যে অশান্তি করতে চেয়েছে বারবার। সিবিআইয়ের বক্তব্যেই প্রমাণ হয়ে গেল তা।
উক্ত ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে সমাজমাধ্যমে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, কলকাতা পুলিশ যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানিয়েছিল সিবিআইয়ের তা জানাতে সময় লাগাল ২৪ দিন। দুর্ভাগ্যজনক! সেইসঙ্গে বিজেপি ও মোদী-ঘনিষ্ঠ মিডিয়ার ষড়যন্ত্রও বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট দাবি, যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট দিতে হবে সিবিআইকে এবং শুনানি শুরু করতে হবে। এর অন্যথা হলে নির্যাতিতার বিচার থমকে যাবে। “শোনা যাচ্ছে সিবিআই বলেছে সঞ্জয়ই একমাত্র অপরাধী। গণধর্ষণের কোনও ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তাই যদি হয়, তবে সেকথা তো কলকাতা পুলিশ প্রথমেই বলে দিয়েছিল। ১২ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশই। বিজেপি-সিপিএম ও কংগ্রেসের মিথ্যে প্রচারের ফানুস তো এবার ফুটো হয়ে যাবে। তাঁর দাবি, আমরাও নির্যাতিতার বিচার চাই। সেইসঙ্গে সিবিআই আদালতে কী বলছে সেদিকেও আমাদের সকলের নজর থাকবে”, সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1832363315651064281