Madhya pradesh বড়সড় বিপাকে মধ্যপ্রদেশের বিজেপিশাসিত সরকার। প্রশ্নের মুখে পড়েছে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যটির প্রশাসন। থানার লক আপে খুনের মামলায় ধৃত অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে শোরগোল। রবিবার সকালের এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায়। মৃত বন্দির নাম বালকৃষ্ণ জাটভ ওরফে সানি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অবশ্য দাবি, সানি আত্মহত্যা করেছে। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিরোধীরা। ঘটনায় রাজ্যের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। তাদের দাবি, মৃত ব্যক্তি দলিত। মধ্যপ্রদেশে দলিতরা কেন ফের নিশানায় পুলিশের? উঠছে প্রশ্ন। এপ্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন, “মধ্যপ্রদেশে দলিত হওয়া কী অপরাধ? কাটনির পর ফের এক দলিতকে নিশানা করল পুলিশ।” একইসঙ্গে মোরেনার এসপির অপসারণ এবং অভিযুক্ত পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে খুনের মামলা রুজু করার দাবি জানিয়েছেন জিতু। দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রদেশে কাটনি জেলার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানে জিআরপি থানার মধ্যে এক দলিত বৃদ্ধা এবং তাঁর নাতিকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা গিয়েছে। এবার পুলিশ হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় ফের চাপের মুখে পড়েছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। সূত্রের খবর, রবিবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সিভিল লাইনস থানার লক আপে উদ্ধার হয় সানির ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে শ্যালককে খুনের অভিযোগে গত শনিবার সানিকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতের পরিবারের অবশ্য দাবি, সানিকে চারদিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এএসপি অরবিন্দ ঠাকুর জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এসপি সমীর সৌরভ। ইতিমধ্যে হেফাজতের মৃত্যুর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে স্টেশন-ইনচার্জ রামবাবু যাদব, একজন কনস্টেবল এবং হেড কনস্টেবলকে।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1831335310657040574