Governor আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই রাজনীতির ঘৃণ্য আগুনে লাভের রুটি সেঁকে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। ছড়ানো হচ্ছে নানান ভুয়ো খবর। এর মধ্যেই পিছনের দরজা দিয়ে বাংলা দখলের ফের ফন্দি আঁটছে গেরুয়াশিবির। আর এই ঘৃণ্য চক্রান্তের শরিক খোদ বাংলার রাজ্যপালকে। এবার বিজেপির উসকানিতে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কৌশলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অজুহাত তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়েছেন বোস। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পরই বিজেপি ও রাজ্যপালের আঁতাত ফের সামনে চলে এল। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে এক বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে মণিপুর, মহিলাদের নগ্ন করে প্যারেড করানো-ধর্ষণ-খুনের মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, সেখানে এখনও রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করা হয়নি। কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবুও না-দেখার ভান করে রয়েছে মোদী সরকার। আর বাংলার নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1825883626833109044
প্রসঙ্গত, বোস তাঁর সুপারিশটি সরাসরি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে৷ একইসঙ্গে সুপারিশের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছেও৷ এমন একটি সময়ে রাজ্যপালের তরফে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির সুপারিশের কথা সামনে এসেছে, যখন আরজি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে সিবিআই৷ আগামী কাল মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আরজি কর ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি রয়েছে৷ তার আগেই রাজ্যপালের এই সুপারিশ প্রশ্ন জাগিয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে৷ এই মর্মে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে সোমবার প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় আর যাই হোক রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিস্থিতি নেই। একটা ঘটনা ঘটেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের হাতে কিছু নেই। মানুষ প্রতিবাদ করছেন এতে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। কিন্তু এই সুযোগে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে দু-একটা রাজনৈতিক দল। যা দুর্ভাগ্যজনক। এর আগেও বহু ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যপাল বাংলাকে অপদস্থ করার জন্য অনেক পরিকল্পনায় শামিল হয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজভবনের অন্দরে মহিলা কর্মচারীর শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের-সহ কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। এরপরেও ক্রমাগত রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ও বিপাকে ফেলার কদর্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে তৃণমূল শিবির।
governor




