SSKM Hospital অতিসম্প্রতিই নন্দীগ্রামে এক মহিলার উপর অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-আশ্রিত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল করার ‘অপরাধে’ সেই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হয়। পাশাপাশি, যৌন নির্যাতন চালানো হয় তাঁর ১৩ বছরের শিশুকন্যার উপরেও। রবিবার নন্দীগ্রামে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের আট সদস্যের প্রতিনিধিদল। রবিবার বিকেলেই নির্যাতিতাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন শিউলি সাহা, বিরবাহা হাঁসদা, সায়নী ঘোষ, উত্তরা সিংহ, মমতাবালা ঠাকুর, দোলা সেন, দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং কুণাল ঘোষ। জানা গিয়েছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী শুক্রবার রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে চড়াও হয়। মহিলা ও তাঁর ১৩ বছরের মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর নগ্ন করে প্রায় ৩০০ মিটার পথ হাঁটতে বাধ্য করা হয় মহিলাকে।
উক্ত দুষ্কৃতীদের দলে ২০ থেকে ৩০ জন ছিল বলেও দাবি তৃণমূলের। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বিজেপির বুথ সভাপতি তাপস দাস-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। নন্দীগ্রাম হাসপাতালে গিয়ে রবিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুণাল ঘোষ জানান, তাঁরা নন্দীগ্রাম থানার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। দোষীদের, অধিকাংশকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1825452172646961554
নিগৃহীতা, নিজেই বয়ান দিয়েছেন। এখন জানা যাচ্ছে মহিলার নাবালিকা কন্যার উপরেও হামলা হয়েছে। পকসো আইনেও মামলা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কুণাল ঘোষের অভিযোগ, গোকুলনগরের কেউ তৃণমূল করলেই বিজেপি তাঁর ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। “নির্যাতিতার বাড়িতে একাধিকবার ভাঙচুর করা হয়েছে, হামলা হয়েছে। তারপরেও ওই পরিবার মাথা নত করেনি। ওঁরা শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি”, জানিয়েছেন কুণাল।
sskm hospital




