RG Kar ‘কাউকে রেয়াত করা হবে না!’ – আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতার, দিলেন কড়া বার্তানৃশংস, পাশবিক, মর্মান্তিক। যথেষ্ট নয় কোনও বিশেষণই। শুক্রবার আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রীতিমতো শিউরে উঠেছেন রাজ্যবাসী। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের চারতলায় পাওয়া গিয়েছে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। চোখ, মুখ এবং যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত। সারা শরীরের ১১টি জায়গায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। নিম্নাঙ্গে কোনও পোশাক নেই। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার অভিযোগে আজ, শনিবার সকাল থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে বসেছেন। চলছে বিক্ষোভ। এবার অপরাধীদের কঠোরতম তথা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া বার্তা দিলেন তিনি। বললেন, “ফাঁসির পক্ষে আমি নই। তবে কোনও কোনও ঘটনায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরকম শাস্তি দরকার। যাতে আর কেউ এসব করার সাহস না পায়। আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু ন্যক্কারজনক ও অমানবিক। এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করা যায় না।” মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়ানোয় অনেকটা স্বস্তিতে তাঁরা। এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মমতা।
পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তাররা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেটা সঙ্গত বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “ওদের যা দাবি, তার সঙ্গে আমি একমত। তাঁরা যা দাবি জানিয়েছে, পুলিশ সেটা মেনে নিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেটা সঙ্গত বলেই আমি মনে করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে, দরকার হলে ফাঁসির আবেদন করা হোক। যে কালপ্রিট এটা করেছে, তার কোনও ক্ষমা নেই।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি গতকাল ঝাড়গ্রামে ছিলাম। রাস্তা থেকে খবর নিচ্ছিলাম। মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। আমি আমার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, দোষীদের চিহ্নিত করে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে এবং প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে। ডাক্তারদের গায়ে যাতে কেউ হাত না দেয়, তার জন্য আমরা প্রত্যেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প করেছি। আমরা তো দেখবই। হাসপাতালের সুপার, প্রিন্সিপ্যালদেরও নিরাপত্তাটা দেখতে হবে। তাদের দিক থেকে কোনও গাফিলতি ছিল না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।”
Link:https://x.com/ekhonkhobor18/status/1822537706578051180?s=19
পাশাপাশি, বিক্ষোভকারী ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, “আমরা নিশ্চিত করেছি যে, প্রতিবাদকারী একজন চিকিৎসকও যেন কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হন। একজন সহকর্মীকে হারানোয় সবাইকে বিচলিত করে। আমার পরিবারেও দুজন জুনিয়র ডাক্তার আছে। আমি আগেও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ছিলাম এবং সবসময় তাঁদের সঙ্গে থাকব। প্রয়োজনে আমি আবার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও সিপিকে পাঠাব। আমরা সঠিক, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পুলিশের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছেন। “কলকাতার পুলিশ কমিশনার পুরো সময় হাসপাতালে ছিলেন এবং তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে”, স্পষ্ট জানান তিনি।
rg kar