বুধবার ফের উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে কড়া আক্রমণে বিঁধল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। আর তাতে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিন বিধানসভায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন সংক্রান্ত আলোচনায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাদানুবাদের সূত্রপাত হয়। বিধানসভার ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন নিয়ে প্রস্তাব আনেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও অশোক দেব। চন্দ্রিমা বলেন, “১ জুলাই থেকে নয়া আইন কার্যকর হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ইন্ডিয়ান পেনাল কোড ছিল, ইন্ডিয়ান শব্দটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর আড়ালে বিজেপির অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয়।”
পাশপাশি তিনি জানান, বিল পাশের সময় ১৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাঁদের বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বাংলা-সহ তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন। ল কমিশনের কাছেও বিল পাঠায়নি কেন্দ্র। চন্দ্রিমার অভিযোগ, এই আইনের মধ্য দিয়ে পুলিশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনে রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রের আইন নিয়ে বিধানসভায় কেন আলোচনা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, ব্যক্তি-অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসাবেই বিধানসভায় আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।