মোদী জমানায় গত দশ বছরে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দু-চার জন মন্ত্রী ছাড়া বাকিদের কোনও কাজ নেই। অধিকাংশ মন্ত্রীরই পদ আলঙ্কারিক। আসল কাজ চলে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে। সেখান থেকেই মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ হয়। এমনকি অনেক সচিব তাঁদের মন্ত্রীদেরও অনেক কিছু জানান না। ফের একবার এনডিএ ক্ষমতায় এসেছে। তবে তৃতীয় মোদী সরকার একেবারেই শরিকদের ওপর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে রবিবার নতুন মন্ত্রিসভার শপথের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠে গেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে সব মন্ত্রক চালানোর যে অভ্যাস দশ বছর ধরে তৈরি হয়ে গেছিল, তা কি শরিক দলগুলি মেনে নেবে?
তেলুগু দেশম থেকে মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইয়ারান নায়ডুর ছেলে রাম মোহন নায়ডু। সংযুক্ত জনতা দল থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন রাজীব রঞ্জন সিং লালন। তিনি বেশ পোড় খাওয়া নেতা বলেই পরিচিত। তা ছাড়া ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান ও স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে তাঁদের কাজ তাঁরা পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে দেবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
শুধু তাই নয়, অনেকের মতে, এবার মোদীর নেতৃত্বে লোকসভা ভোটে বিজেপি একার ক্ষমতায় ম্যাজিক সংখ্যা টপকাতে না পারার কারণে বিজেপির মধ্যেও একটা প্রেসার গ্রুপ তৈরি হয়েছে। রাজনাথ সিং, নিতিন গডকড়ির মতো নেতাদের এতদিন মন্ত্রিসভায় আলাদা করে কোনও ভয়েস ছিল না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে রাজনাথের কথা কতটা চলত তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। বিজেপির মধ্যে এই অংশকে আগের তুলনায় অনেক সক্রিয় দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। নয়াদিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মন্ত্রিসভায় মন্ত্রকের বন্টনের ছবিতেও কাল এ বিষয়টা অনেকটা স্পষ্ট হতে পারে।