নারদ মামলায় কেন গ্রেফতার হলেন না মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী? আদালতে প্রশ্ন তুললেন বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। নারদ স্টিং অপারেশনের সময় তিনি ছিলেন বর্ধমানের পুলিশ সুপার। ওই মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এখনও সাসপেনশনে থাকা সেই পুলিশকর্তা এসএমএইচ মির্জা জানতে চান, নারদ কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের মতো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কী পদক্ষেপ করেছে? নিছক প্রশ্ন তোলা নয়, এর উত্তর জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম ও এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে? প্রশ্ন তুললেন মির্জার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। এরপরই বিচারক ইডি-কে প্রশ্ন করেন, বাকিদের বিরুদ্ধে কী তদন্ত এগোচ্ছে? মির্জা আদালতে বলেন,”মুকুল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি অভিযুক্ত। তাহলে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে? বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে কেউ জানে না। এতে আমরা ভুক্তভোগী হচ্ছি।” মির্জার প্রশ্ন, ”কেন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল না? আমি ৫৬ দিন জেল খাটলাম।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ অগাস্ট।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছিল সিবিআই এবং ইডি। এখন ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বর্তমান মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদ, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, প্রাক্তন পুরকর্তা ইকবাল আহমেদ, প্রাক্তন সাংসদ মুকুল রায় এবং পুলিশকর্তা মির্জার নাম ছিল অভিযুক্তের তালিকায়। মৃত্যুর পরে এই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে সুলতান আহমেদ ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম।