দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মিটেছে প্রথম চার দফার ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে শেয়ার বাজারের সূচক নিম্নমুখী। এর অন্যতম কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছে বিজেপি গতবারের তুলনায় এবার কম আসনে জিততে পারে। এর জেরে শর্ট পোজিশনের কন্ট্র্যাক্ট বাড়ছে ক্রমেই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্লুমবার্গের সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় শেয়ার বাজারে নেট শর্ট পোজিশন কন্ট্র্যাক্টের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১২ হাজার ২২৪ হয়েছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এর অন্যতম কারণ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছে বিজেপি গতবারের তুলনায় এবার কম আসনে জিততে পারে। আর তাই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার বিষয়ে সন্দিহান বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এর জেরে সূচকে অস্থিরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
নেট শর্ট পোজিশন হল ইন্ডেক্স ফিউচার কনট্র্যাক্ট এবং শর্ট পোজিশনের ব্যবধান। আর শর্ট পজিশন এমন একটি কৌশল, যেখন একজন বিনিয়োগকারী আগে থেকেই অনুমান করে ফেলেন যে কোনও নির্দিষ্ট স্টকের দাম কমবে। এরপর বিনিয়োগকারী কোনও ইনভেস্টমেন্ট ফার্মের থেকে সেই শেয়ারগুলি ধার করেন তা অন্য কাউকে বিক্রি করার জন্য। অর্থাৎ শেয়ার না কিনেই বিক্রি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছে। অন্যদিক দিয়ে দেখতে গেলে, ৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে। এদিকে ডেরিভেটিভ বাজারে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে ক্রমেই। এই আবে ২০১২ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ নেট শর্ট পোজিশন।
বিশ্লেষকদের দাবি, নির্বাচনের মাঝে শেয়ার বাজারের ঘরোয়া বিনিয়োগকারীরা ইকুইটি শেয়ারের চেয়ে বেশি অপশন ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করছে। মূলত বিভিন্ন সংস্থার ফলাফল সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতেই অপশনের দিকে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিকে ৪ জুনের আগে ইকুইটি শেয়ারের দাম কমলেও তা ছাড়তে চাইছেন না স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা। এদিকে সেই শেয়ার কিনতে চাইছেন না বিদেশিরা। এই আবহে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।