লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে বিআরএস। সম্প্রতি তাদের একজন সাংসদ কংগ্রেসে এবং আরও দুইজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আরও এক সাংসদ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। এই অবস্থায়, ওয়ারঙ্গল থেকে তাঁকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিআরএস। কিন্তু বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই প্রাক্তন বিধায়ক অরুরি রমেশকে নিয়ে বিজেপি এবং বিআরএস-এর মধ্যে টানাটানি শুরু হয়ে গেল। যার জেরে জামাও ছিঁড়ে গেল বিধায়কের!
প্রসঙ্গত, বিআরএস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে চেয়েছিলেন অরুরি রমেশও। মঙ্গলবার, তেলেঙ্গানার বিজেপি প্রধান জি কিশান রেড্ডির সঙ্গে দেখা করেছিলেন কেসিআর-এর দল বিআরএস-এর এই প্রাক্তন বিধায়ক। বুধ সন্ধাতেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। গতকাল সকালে দলবদলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার জন্য এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন রমেশ। কিন্তু সেই সম্মেলন শুরুর আগেই প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ইরাবেলি দায়কারের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হানা দেন বিআরএস নেতারা। রমেশকে তাঁরা বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। বিআরএস নেতা হরিশ রাও তাঁর সহপাঠী, তাঁর সঙ্গেও কথা বলানো হয়। তারপর তাঁরা মিস্টার রমেশকে জোর করে গাড়িতে তুলে হায়দ্রাবাদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে হরিশ রাও, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-সহ পদস্থ বিআরএস নেতারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
কিন্তু, যাওয়ার পথে ফের আরেক প্রস্থ নাটক হয়। বিজেপি সমর্থকরা খবর পেয়ে মাঝরাস্তাতেই গাড়িটি আটকান। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিজেপি সমর্থকরা রমেশকে গাড়ি থেকে টেনে বের করছেন। ইরাবেলি দয়াকর গাড়িটির সামনের সিটে বসে ছিলেন। গাড়িটিকে বিজেপি সমর্থকরা হায়দ্রাবাদের দিকে যেতে বাধা দেন। বিজেপি সমর্থকরা, বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে রমেশকে ফোনে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে বাধ্য করে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি বিআরএস নেতৃত্বকে বলবেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন। এই টানাহেঁচড়ার মধ্যে রমেশের জামা ছিঁড়ে যায়। সবমিলিয়ে বুধবার এক আশ্চর্য দৃশ্যের সাক্ষী হল তেলেঙ্গানা।