আর বেশি দেরি নেই। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে বঙ্গ বিজেপির। আভ্যন্তরীণ কোন্দল পিছু ছাড়ছে না তাদের। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে পদ্মশিবির। বাংলার গেরুয়া প্রার্থীদের নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে দিকে দিকে। এবার বহরমপুর লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থীকে ঘিরে দলের অন্দরে চরমে পৌঁছল আসন্তোষ। ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন খোদ বিজেপি জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক। রাজনৈতিক পরিসরের বাইরে এক চিকিৎসককে টিকিট দেওয়া হয়েছে বহরমপুরে, যাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে নেতা-কর্মীরা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। অস্বস্তিতে বেড়েছে বিজেপিতে। ভোটের আগে নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ মিটিয়ে ভোট ময়দানে নামানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ পদ্মশিবিরের সামনে।
উল্লেখ্য, সমাজমাধ্যমে জনৈক বিজেপি কর্মী লিখেছেন, “বহরমপুর লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী কে হবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও ক্ষমতা আমার নেই। যাঁরা রাজনৈতিক দল করেন, তাঁদের সবার কিছু ইচ্ছে থাকে। কেউ সংগঠনের দায়িত্ব নিতে চান, কেউ জনপ্রতিনিধি হতে চান। আবার কেউ কর্মী হয়ে দলের কাজ করতে চান। কেউ এলাকায় মানুষের কোনও উপকার করতে পারলেই খুশি হন। কিন্তু প্রার্থী দলের বাইরের লোক হলে দলের ভাল মন্দে তাঁর কী এসে যায়? তিনি তো জানেনই না দল কী চায়। তিনি দলের জন্য কোনওদিন শ্রম বা সময় দেননি। এমনকী অর্থও দেননি। বিজেপি করার জন্য তাঁকে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। দলের কর্মীদের ভাবাবেগ জানেন না। দলের কর্মীদের সঙ্গে যেকোনও সময় দূরত্ব তৈরি করেতে পারেন।” ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দলের নিচুতলার কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন দল করেও টিকিট প্রত্যাশীরা টিকিট পান না, স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষ বাড়বেই। তাঁদের কথায়, পতাকা বেঁধে, মিটিং মিছিল করে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে জেলে গিয়েও তাঁরা টিকিট চান না। নিজেদের নেতাদের জন্য লড়াই করেন। কিন্তু নেতারা যখন টিকিটের দৌড়ে থেকে বঞ্চিত হন, তখন খারাপ লাগে। দলের ভিতরে অনেকেই অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন। স্বভাবতই মাথাব্যথা বেড়েছে গেরুয়া-নেতৃত্বের।