দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে সন্দেশখালি ইস্যুকে জিইয়ে রেখে বিজেপি যে এর ফসল ঘরে তুলতে চায়, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিকে, আগামী মাসের ৬ তারিখ রাজ্য সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন তিনি সভা করবেন বারাসতে। বৃহস্পতিবার বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, রাজ্য সফরে এসে বসিরহাটের মহিলাদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর থেকেই গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পরিষ্কার। সূত্রের খবর, সন্দেশখালি নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে রাখতে এবার রাজভবনেও বার্তা পৌঁছেছে দিল্লি থেকে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সফরে আসার মুহূর্ত পর্যন্ত যাতে এই বিতর্ক জারি থাকে।
এমনিতে পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যে ধারা প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর শুরু করেছিলেন, তা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। সন্দেশখালিতেও পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শুধু তা নয়, তিনিও এও ঘোষণা করেন যে সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের জন্য রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে দিচ্ছেন তিনি। সূত্রের খবর, ফের সন্দেশখালিতে যেতে পারেন আনন্দ বোস। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, সন্দেশখালির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার থেকেও ইনপুট চেয়েছেন রাজ্যপাল। উপদ্রুত এলাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের থেকে দুটি রিপোর্টও রাজ্যপাল পেয়েছেন বলে ওই সূত্রের দাবি।
তা ছাড়া সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখতে জাতীয় কমিশনের যে প্রতিনিধিরা কলকাতায় আসছেন, তাঁরাও দেখা করছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। সেই রিপোর্ট হাতে নিয়ে শিগগির ফের সন্দেশখালি ও আশপাশের এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন আনন্দ বোস। এ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, কৌশলগত ভাবেই সন্দেশখালিতে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। যাতে এর থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যায়। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপাল যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তার খসড়া বিজেপি অফিস থেকেই এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি দিল্লির অঙ্গুলিহেলনে যে চলছেন, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই’।