আজ, শুক্রবার থেকে রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ৯ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছে। আর এবারের মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে প্রশ্নপত্রের উপরেই কোডের ব্যবহার করা হয়েছে। যে কোডের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা যাবে কোন পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে। প্রশ্নপত্রের প্রত্যেকটি পাতায় এই কোডের ব্যবহার করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে এই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়েই অভিভাবকদের কাছে বড় আবেদনও রেখেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই খোলা চিঠিতে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ আবেদন রাখা হয়েছে। যে আবেদনে বলা হয়েছে মোবাইল পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে এলে পরীক্ষা বাতিলের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই নিষিদ্ধ কোনও বস্তু বা মোবাইল ফোন যাতে কোনও পরীক্ষার্থী না নিয়ে আসতে পারে, তার জন্য অভিভাবকরা সচেতনভাবে ব্যবস্থা নিন। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিভাবিকার জন্য এমনই খোলা চিঠি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির। এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র মোবাইল ফোন নয়, নিষিদ্ধ কোনও বস্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে এলেই পর্ষদ এই ধরনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষার সময়সূচি বদল করেছে। খোলা চিঠিতে সেটাও জানানো হয়েছে।
আজ অর্থাৎ ২ তারিখ থেকে পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে আটটার পর থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে। সকাল ৯টা ৪৫ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত হবে পরীক্ষা। সকাল ৯টা ৪৫ থেকে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের বিলি করা হবে। সকাল দশটা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। খোলা চিঠিতে লেখা হয়েছে, প্রশ্নপত্রের উপরে যে সিরিয়াল কোড থাকবে, সেই সিরিয়াল কোড পরীক্ষার্থীরা যখন অ্যাটেন্ডেন্স সিটে সই করবে, সেখানেও নির্দিষ্ট স্থানে লিখতে হবে এবং উত্তরপত্রের উপরেও ওই কোড নম্বরটি লিখতে হবে। তবে এই ধরনের খোলা চিঠি দেওয়ার কেন প্রয়োজনীয়তা হল? পর্ষদের দাবি বিভিন্ন সময় বিক্ষিপ্ত ভাবে দেখা গিয়েছে মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়ার ঘটনা। সেক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষার্থী যাতে মোবাইল ফোন পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত না নিয়ে আসতে পারেন তার জন্য অভিভাবক অভিভাবিকাদের সচেতন করার চেষ্টা পর্ষদের।