মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলে থাকেন এগিয়ে বাংলা। সেই দাবি যে মোটেই ভ্রান্ত নয় এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে এগিয়ে মমতার রাজ্যই। এ কথা জানালো খোদ কেন্দ্রের রিপোর্ট। পাশাপাশি, এই রিপোর্টে আবারও মুখ পুড়েছে দেশের একের পর এক বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। সেই জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, বছরে মোট পাওয়া টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করতেই হবে। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, ডাবল ইঞ্জিন সরকার সহ দেশের বেশিরভাগ রাজ্য এখনও এই মাপকাঠির কাছাকাছি পৌঁছাতে না পারলেও মমতার বাংলা এগিয়ে রয়েছে অনেকটাই। তারা ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ টাকার সদ্ব্যবহার করে ফেলেছে। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও বিহারের মতো রাজ্যগুলি ক্রমতালিকায় রয়েছে একেবারে নীচের দিকে।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা প্রতিবছর রাজ্যগুলিকে দুই কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়। প্রাপ্য টাকার নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ না করতে পারলে পরবর্তী অর্থবর্ষে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের টাকা পেতে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে টাকা আটকে দেয় কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ সালের যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে বাংলা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গত দু’টি অর্থবর্ষে বাংলা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খাতে যে টাকা পেয়েছে তা খরচে প্রবল গতি এসেছে। বহু এলাকায় রাস্তাঘাট তৈরি হয়েছে এবং পানীয় জলের কল বসেছে। কোথাও আবার পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ পরিচালিত ট্যাঙ্ক। এছাড়াও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাচ্চাদের জন্য পার্ক ও সাব সেন্টার তৈরি এবং জলের এটিএম বসানো সহ নানারকম উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খাতে রাজ্য ৪,৮০০ কোটি টাকার বেশি পেয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫০০ কোটির বেশি খরচ করে ফেলেছে মমতা সরকার।