খুশির হাওয়া সারা ধূপগুড়ি জুড়ে। অবশেষে এল সুসংবাদ। সেই খবর শোনালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি জটিলতা ছিল। তা মিটে যেতেই মহকুমার তকমা পেল জলপাইগুড়ির এই ব্লক। এতদিন এখানকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন ছিল, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কেন মহকুমার মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না ধূপগুড়িকে। নতুন বছরে সেই প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণায় খুশি ধূপগুড়িবাসী। এতদিন ধূপগুড়ি ছিল ব্লক। কোনও ব্লককে মহকুমা ঘোষণা করতে হলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আইন বিভাগের অনুমতি দরকার। পরিকাঠামো উন্নয়নে আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। তবে আইন বিভাগের অনুমতি এতদিন মিলছিল না। ফলে ২০২৩ সালে মহকুমা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেনি ধূপগুড়ি। এবার সেসব জটিলতা কাটিয়ে অন্তিম অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবারই প্রকাশ হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
এপ্রসঙ্গে ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, “এখনই আইনমন্ত্রীকে ফোন করে আমি খবরটা পেলাম। খুব ভালো লাগছে। এলাকাবাসীর যা যা দাবি ছিল, এতদিনে পূরণ হল। আর আমাদের সরকার যা কথা দেয়, তা যে রাখে, তাও আরেকবার বোঝা গেল। আমরা শুরু থেকেই এটা বলে আসছি। কিছু জটিলতা ছিল। তাই ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা ঘোষণা করা যায়নি। কিন্তু আজ তা হয়ে গেল।” গত সেপ্টেম্বরে ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন হয়। তখন প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল জিতলে ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর পর নভেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েও অভিষেকের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, কথা রাখবে সরকার। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই মহকুমার তকমা পাবে ধূপগুড়ি। মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পাশও হয়। কিন্তু কিছু আইনি জটিলতা থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার সম্ভব হল তা।