পাহাড়ের মেয়েকে তিনি যে বাড়ির বউ করতে চলেছেন সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগেও এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। অবশেষে যথা সময়েই সুসম্পন্ন হল মমতার ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে। পাত্রীর নাম দীক্ষা ছেত্রী। বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের কার্শিয়াঙে বসেছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানেই যাবতীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয় মমতার চিকিৎসক ভাইপোর। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই বুধবার কার্শিয়াং পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আবেশের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল জাঁকজমকের ছোঁয়া। আবেশ মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তান। তাঁর বিয়েতে প্রত্যাশিতভাবেই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতানেত্রীকে দেখা গিয়েছে। আবেশের বিয়ের অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধানগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও তাঁর স্বামী সমীর চক্রবর্তীকেও দেখা গিয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীথ থাপা, শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক নেতানেত্রীকে দেখা গিয়েছে।
এদিকে, ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা। সেই কারণে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ কয়েকদিন আগেই কার্শিয়াং পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেশের বিয়েতে খোশ মেজাজেই দেখা যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। পরনে ধূসর ব্লেজার ও নীল জিন্সের পাশাপাশি অভিষেকের মাথায় ছিল নেপালি টুপি। তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বেইজ রঙের শাড়িতে তৃণমূল সাংসদের পাশে দেখা গিয়েছে। কার্শিয়াঙে বিয়ের আসর বসলেও কলকাতায় ইকো পার্কের একটি ব্যাঙ্কোয়েটে হবে ঝাঁ চকচকে রিসেপশনের অনুষ্ঠান। তবে পাহাড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় সেই অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না মমতা।