আচমকাই দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমে। সম্প্রতি বাংলার বিরোধী দলনেতা-সহ রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করছেন। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলায় দেখা গেল সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। রাজ্য পুলিশেই তাঁর ভরসার কথা প্রকাশ করলেন পদ্ম-সাংসদ কুনার। প্রসঙ্গত, সোমবার বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ঠিকঠাক চলছে কি না, তা দেখতে গোপীবল্লভপুর বিডিও অফিসে এসেছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “সব দল, প্রশাসনের সহযোগিতা যদি থাকে তাহলে অন্যান্য রাজ্যের মতোই এখানে ভোট হবে। এর জন্য কী দরকার আধাসেনার? আমরা চাই, শান্তিপূর্ণভাবে সবার সহযোগিতায় ভোট হোক।” স্বভাবতই বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। এদিন কুনারের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অবনী ঘোষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলায় বিজেপি বেশ ভাল ফল করেছিল। ৭৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২৪ টি দখল করেছিল বিজেপি। গোপীবল্লভপুর এক পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল। গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টি বিজেপি দখল করে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম আসনটি বিজেপি দখলে। সাংসদ হন কুনার হেমব্রম। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের ব্যাপক জয় বিজেপিকে কিছুটা হলেও পিছনের পায়ে ঠেলে দেয়। ঝাড়গ্রামের চারটি বিধানসভা দখল করে তৃণমূল। আর শাসকদলের এই সাফল্যের জেরে জেলায় পর পর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বিজেপির হাতছাড়া হয়। বিজেপি ছেড়ে বহু বিজেপি নেতা, কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। গোপীবল্লভপুর এক ব্লক ছাড়া অন্যন্য সব ব্লকেই কম বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি হাতছাড়া হয় গেরুয়াশিবিরের এবার খোদ কুনারের এমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বাড়াল বঙ্গ বিজেপির।