পিএম কেয়ার্স ফান্ডে বিগত তিন বছরে জমা পড়েছে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক অনুদান। সরকারি তথ্য অনুযায়ী একথা জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে বৈদেশিক অনুদান বাবদ জমা পড়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থাৎ করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় এই তহবিলে বিপুল অঙ্কের বিদেশি অনুদান এসেছে। তবে ধাক্কা খেয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়।
সরকারি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ভাল অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে। যদিও দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা কমে গিয়েছে । ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা পড়েছে ০.৪০ কোটি টাকার বিদেশ অনুদান। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৪৯৪.৯২ কোটি এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে বিদেশি অনুদান হিসেবে জমা হয়েছে ৪০.১২ কোটি টাকা।
সরকারি রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে,২০১৯-২০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সময়ে বিদেশি অনুদানের সুদ বাবদ পিএম কেয়ার্স ফান্ডের আয় হয়েছে ২৪.৮৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিদেশি অনুদানের পাশাপাশি ধাক্কা খেয়েছে স্বেচ্ছায় অনুদানও। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে স্বেচ্ছায় অনুদান থেকে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা হয়েছে ৭,১৮৩.৭৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে স্বেচ্ছায় অনুদান থেকে এসেছে ১,৮৯৬.৭৬ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে স্বেচ্ছা অনুদান থেকে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা হয়েছিল ৩,০৭৫.৮৫ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিন বছরে পিএম কেয়ার ফান্ডে জমা হওয়া মোট টাকার পরিমাণ ১২,৬৯১.৮২ কোটি। তারমধ্যে স্বেচ্ছা অনুদান বাবদ ১২,১৫৬.৩৯ কোটি এবং বিদেশি অনুদান বাবদ ৫৩৫.৪৩ কোটি টাকা।
পিএম কেয়ার্স ফান্ডের এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস মুখপাত্র ড: শামা মহম্মদ টুইটারে লিখেছেন, ‘গত তিন বছরে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা পড়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা। দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করে নিয়েছে যে, এই তহবিল কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত নয়, এটি একটি বেসরকারি তহবিল। আমরা জানি, এই তহবিলে টাকা এসেছে চিন থেকেও। বন্যার সময় কেরালাকে বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও একটি বেসরকারি তহবিলে কয়েকশো কোটি টাকা জমা হওয়ায় ভারত সরকারের কোনও সমস্যা নেই। এই টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, এটা বিশ্বাসঘাতকতার থেকে কম কিছু না’।