সম্প্রতি আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। শেয়ার বাজারে তাঁদের যে অবস্থান, তার অনেকটাই কৃত্রিম। আর তারপর থেকেই ক্রমাগত পড়ছে আদানিদের শেয়ারের দর। অব্যাহত গোটা শেয়ারবাজারের পতনই। মঙ্গলবারও যেমন ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সেনসেক্স ও নিফটি। বরং ৩৩৭.৬৬ সূচক হারিয়ে ৫৮ হাজারের গণ্ডির নিচে নেমে গেল সেনসেক্স। আর ১১১ পয়েন্ট খুঁইয়ে ১৭ হাজার ৪৩ দশমিক ৩০ সূচকে দাঁড়িয়েছে নিফটি। এ নিয়ে টানা চারদিন লোকসানের মুখ দেখলেন বিনিয়োগকারীরা। কবে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি বাজার বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল সকালে ৫৮, ১৬৮ দশমিক ৭৫ সূচক নিয়ে পথচলা শুরু করেছিল সেনসেক্স। শুরুতে চড়চড় করে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারদর। একসময়ে ৫৮ হাজার ৪৯১ সূচকে পৌঁছেছিল। তার পরে আচমকাই গোঁত্তা খেয়ে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। দুপুরে ৫৭ হাজার ৭২১ দশমিক ১৬ সূচকে নেমে যায় সেনসেক্স। বাজার বন্ধের আগে খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু তা বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তি এনে দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩৩৭.৬৬ সূচক হারিয়ে ৫৭ হাজার ৯০০ দশমিক ১৯ পয়েন্ট নিয়ে বন্ধ হয় সেনসেক্স। গতকাল শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে গৌতম আদানির মালিকাধীন আদানি এন্টারপ্রাইজ। একদিনে সংস্থার শেয়ারদর কমেছে ১৩৬ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে শেয়ারমূল্য।
