ভারতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পদক্ষেপটি মুনাফা অর্জনের মাধ্যম হয়ে পড়বে। এই দাবি তুলে এবার অল ইন্ডিয়া ফোরাম ফর রাইট টু এডুকেশনে ছাত্র, শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের একটি সংগঠন বিক্ষোভ করল। মঙ্গলবার সবার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের দাবি তুলল তারা।
সংগঠনটির দাবি, ভারতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পদক্ষেপটি মুনাফা অর্জনের মাধ্যম হয়ে পড়বে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ফি অনেক উচ্চসীমায় পৌঁছে যাবে। যেখানে ভারত কোর্সের ফি বৃদ্ধি ও সেলফ ফিনান্স কোর্সগুলি কমাতে চাইছে। পাশাপাশি এসসি, এসটি, ওবিসি, সংখ্যালঘু এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বৃত্তি প্রকল্পগুলির ফান্ডেরও অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই সময় ভারতের মাটিতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শাখা খোলার বিষয়টি এক বড় প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট খসড়া চুক্তি তৈরি করেছে ইউজিসি। নয়া শিক্ষানীতিতে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যাতে ভারতে আসতে পারে, তার জন্য কেন্দ্র সাহায্য করবে বলে জানায়। তখন সংগঠনটি সরকারকে জাতীয় শিক্ষানীতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিল। তাদের দাবি, বিষয়টি সাধারণের শিক্ষার নীতির বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। এনইপি সংসদ বা রাজ্য পরিষদে আলোচনা ছাড়াই বিষয়টি শুরু চালু কারার সিদ্ধান্ত, সাধারণ মানুষের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মৌলানা আজাদ ফেলোশিপের বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংগঠনটি। তাদের দাবি, এসসি, এসটি, ওবিসি এবং মুসলিম ছাত্রদের সাধারণ শিক্ষা এবং বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এনপিই এর মাধ্যমে, শিক্ষার বেসরকারীকরণ এবং মুনাফা অর্জনের যে প্রক্রিয়া আগেও শুরু করা হয়েছিল সেরকম ভাবেই বেদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শাখা খোলার মাধ্যমে আবার নতুনভাবে মুনফা অর্জনের আর এক মাধ্যম হতে চলেছে।