সম্প্রতি আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। শেয়ার বাজারে তাঁদের যে অবস্থান, তার অনেকটাই কৃত্রিম। আর তারপর থেকেই শনির দশা শুরু হয়েছে আদানিদের। অন্যদিকে, এই ইস্যুতে কেন্দ্রকেও ছেড়ে কথা বলছে না বিরোধীরা। শুধু ইডির দফতরে বিরোধী ১০ দলের নালিশই নয়, সংসদেও এককাট্টা হয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল থেকে কংগ্রেস। এর বাইরে বিআরএস এবং আপ-ও সংসদে সরব হয়েছে। এদিনও কংগ্রেস, ডিএমকে, আপ, সিপিএম, সিপিআই এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা-সহ ১৬টি বিরোধী দল আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ইডির দিল্লী অফিসে নালিশ জানান। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে মিছিল করে ইডি অফিসে যান তাদের নেতারা।
আদানির বিরুদ্ধে ইডি অফিসের চিঠিতে এবং সংসদে দফায় দফায় কর্পোরেট জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে। এটিকে রাজনৈতিক দুর্নীতি বলেও বর্ণনা করা হয়েছে। এই দুর্নীতিতে স্টক-প্রাইস ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আরও অভিযোগ, বিশেষ একটি কর্পোরেট গোষ্ঠীকে লাভবান করার জন্য পাবলিক রিসোর্সের অপব্যবহার করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, দেশের সমস্ত বিরোধী শক্তিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তথা ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে হেনস্তা করছে কেন্দ্রের সরকার। কিন্তু আদানি ইস্যুতে তারা নিশ্চুপ। আদানি ইস্যুতে যে মোদী-যোগ রয়েছে, সে কথাও তুলে ধরা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। ইডিকে চিঠিতে বিরোধীরা লিখেছে, যে আদানিরা অফশোর শেল কোম্পানিগুলির একটি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে এবং গ্রুপের সাথে যুক্ত অফশোর তহবিলের উদ্দেশ্যে কৃত্রিমভাবে স্টক মূল্যায়ন বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রুপ কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্যও বিকৃত করে দেখানো হয়েছে।