নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির দুই তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ একটি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে মন্ত্রী শশী পাঁজা এই ঘোষণা করেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়েই শশী বলেন, ‘আমরা বরাবর বলে এসেছি আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাঁদের রেয়াত করা হবে না।’
শশী পাঁজা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দল জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়ে চলছে। অর্থাৎ কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দল সাসপেন্ড করেছিল, তেমনই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হল।
এ কথা বলেই কর্নাটকের বিজেপির বিধায়কের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন শশী পাঁজা। তিনি বলেন, যাঁরা দুর্নীতি বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছে, তাঁরা নিজের রাজ্যে কী করছে? বিজেপি বিধায়কের বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ছেলেকে ঘুষ নিতে গিয়ে লোকায়ুক্ত হাতে নাতে ধরেছে। কিন্তু সেই বিজেপি বিধায়ককে আড়াল করতে কর্নাটকে বিজেপির সরকার নেমে পড়েছে। কই তাঁকে তো বিজেপি বহিষ্কার করেনি।
শশী আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে রোজ নিয়ম করে সিবিআই-ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চলছে তাতে আপত্তি রয়েছে। যেভাবে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে তাতে আপত্তি রয়েছে। একটা কথা মানতে হবে, তা হল যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা কিন্তু তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিস থেকে হয়নি। তা উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। কারও বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে তার দায় দলের নয়।