আজ, মঙ্গলবার ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলিপুর কোর্ট চত্বরে আয়োজিত হয়েছিল একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে ঋষি অরবিন্দের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয় সহ অন্যান্যরা। এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিন এই অনুষ্ঠানে একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। পাশাপাশি তাঁর আইনজীবী সত্ত্বা আরও একবার প্রকাশ্যে আসে। মমতা বলেন, “আমি কখনও কখনও ভাবি নিজেই গিয়ে কোর্টে প্র্যাকটিস করি। কিন্তু, আমি সময় পেয়ে উঠছি না। তবে ভাবছি কিছু কিছু মামলায় নিজেই সওয়াল করব। কারণ তাতে নিজের অন্তর কথা বলতে পারব। ব্রিফ করা আর নিজের অন্তরের কথা বলার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই সেই কারণে আমাকেও সুযোগ দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “নিশ্চিন্তে থাকবেন, কথা দিচ্ছি মামলা লড়তে পয়সা নেব না। আমি বেতনও নিই না, পেনশনও নিই না। আমি ১১ বছর ধরে আমি কয়েক কোটি টাকা মাইনে পেতে পারি। প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে আমি মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন পাই। এমনকী সরকারি গাড়িও ব্যবহার করি না। আমি চাও নিজের পয়সায় খাই।”
পারাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আপনার বলতে পারেন এই পয়সা পান কোথায়? আমি বই, গান লিখি। সেখান থেকে যা রয়্যালিটি পাই, সেই টাকায় আমার চলে যায়। আমার এর থেকে বেশি কিছু প্রয়োজন নেই। যতদিন বাঁচব আপনাদের জন্য বাঁচব, ভালোর জন্য বাঁচব।” কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেকের চাকরি গিয়েছে। এদিন আলিপুর কোর্ট থেকে সেই নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলে মেয়ে গুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাঁদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। “আদালত যেটা বলবে আমার সেটাই করব। দরকার হলে তাঁদের আরও একবার সুযোগ দিন। কথায় কথায় লোকের চাকরি খাবেন না, এটা রাজনীতি নয়। আমি আইনজীবীদের ব্যাপারটা ভেবে দেখতে বল। আমাকে বা আমার দলকে আপনাদের পছন্দ না হতে পারে। রাতদিন গালাগালি দিন, দরকার হলে আমাকে মারুন। কিন্তু, রাজ্যের বদনাম করবেন না”, জানিয়েছেন তিনি।