ফের বিতর্কের মুখে বঙ্গ বিজেপি। পাশাপাশি বিপাকে কাঁথির অধিকারী পরিবারও। স্রেফ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হয়ে দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করে এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন তিনি। হয়েছিলেন কাউন্সিলর। এরপর ভোটে হারলেন এক বছরের মধ্যে আদালতের নির্দেশে চাকরি খোয়ালেন তাঁর ছেলে। বিগত ২০১৭ সালে কাঁথির মাজিলাপুর বিদ্যালয়ে গ্রুপ সি পদে নিয়ুক্ত হয়েছিলেন তৎকালীন কাউন্সিলর তরুণ কুমার বেরার ছেলে সায়ন্ত বেরা। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট গ্রুপ সি পদে কর্মরত ১৫০ জনের চাকরি বাতিল করে। সেই তালিকায় রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে জেলার কাঁথি ও এগরা মহকুমার ৫৫ জন৷ তাদেরই অন্যতম সায়ন্ত বেরা৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার দৌলতেই তরুণ কুমার বেরা ও তার স্ত্রী কাউন্সিলর হয়েছিলেন। অভিযোগ এখানেই থেমে না থেকে নিজের ছেলে সায়ন্ত বেরাকে গ্রুপ সি পদে চাকরি বাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কাঁথির একটি সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তরুণ কুমার বেরা সহ ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর৷ বিধানসভার ফলাফলে অবশ্য মোহভঙ্গ হয় তরুম কুমার বেরার। কাঁথি পুরসভা নির্বাচনের ঠিক পূর্বে বর্তমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিকের হাত ধরে ফের তৃণমূলে ফেরেন। কাঁথির ভোটে ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটও পেয়েছিলেন তরুণবাবু৷ তবে দলবদলু তরুণবাবুকে মেনে নিতে পারেননি ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী, সমর্থকেরাই৷ যার দরুণ, ভোটে শেষ হাসি হাসেন নির্দল প্রার্থী সুময় দাস৷ প্রথমে বাবার কাউন্সিলর ভোটে পরাজয়৷ এবার আদালতের নির্দেশে ছেলের চাকরি যাওয়া৷ স্বাভাবিকভাবেই অধিকারী ঘনিষ্ঠ বাবা-ছেলেকে নিয়ে নতুন করে শোরগোল কাঁথি শহরের রাজনীতিতে। খানিক অস্বস্তিতে পদ্মশিবিরও।