নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল হায়দ্রাবাদ। একইসঙ্গে কলেজে পড়তেন দুই বন্ধু। এক বন্ধুর প্রেম হয় ক্লাসেরই এক ছাত্রীর সঙ্গে। অভিযোগ, সেই তরুণীকে সমানে টেক্সট করে বিরক্ত করছিলেন অপর বন্ধু। অভিযোগ, সম্প্রতি প্রেমিকাকে বিরক্ত করার কথা জানতে পেরে নিজের সেই বন্ধুরই মাথা কেটে, বুক চিরে, হৃদপিণ্ড বের করে নৃশংসভাবে খুন করলেন প্রথম জন। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের এক কলেজে। যদিও খুনের পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন সেই তরুণ প্রেমিক। এরপর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। অভিযুক্ত তরুণের নাম হরিহরকৃষ্ণ। বন্ধু নবীনকে খুনের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। জানা গেছে, তিনজনেই হায়দরাবাদের দিলখুশনগরের একটি কলেজে পড়তেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নবীন এবং হরিহর দুই বন্ধুই ওই তরুণীর প্রেমে পড়েন। মাঝে বেশ কিছুদিন নবীনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল ওই তরুণীর। পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপরই তাঁর বন্ধু হরিহরের সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করেন তিনি।
তবে বিচ্ছেদের পরেও নবীন ভুলতে পারেননি প্রাক্তন প্রেমিকাকে। তাই বারবার প্রাক্তন প্রেমিকাকে টেক্সট করে বিরক্ত করতেন। এতেই বন্ধুর উপর রেগে যান হরিহরকৃষ্ণ। অবশেষে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি নবীনকে খুন করে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। পুলিশকে তিনি জানান, দু’জনেই সেদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রেমিকাকে নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই রাগের মাথায় নবীনের গলা টিপে হত্যা করেন হরিহর। খুনের পর পর যুবকের মাথা কেটে ফেলেন তিনি। শেষে বুক চিরে হৃদপিণ্ডও বের করে আনে। এমনকী কেটে ফেলেন বন্ধুর গোপনাঙ্গও। এরপর নবীনের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহের ছবি তুলে প্রেমিকাকে হোয়াটসঅ্যাপ করেন অভিযুক্ত হরিহরকৃষ্ণ। তারপর নিজের ভুল বুঝতে পেরে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ঘটনার কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। তাঁর প্রেমিকা এবং অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।