তাহলে কি শেষমেশ ‘ফ্লপমাস্টার’ তকমা জুটল বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের বরাতে? ২০২৩-এ এসেও চিত্রটা একইরকম। ফের সিনেমাহলে বড়সড় ব্যর্থতার সম্মুখীন হল অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি। ছবির খামতি ঢাকতে পারলেন না আর এক তারকা ইমরান হাশমিও। যার ফলে মুক্তির দু’দিনের মাথাতেই ফ্লপ ‘সেলফি’। এই নিয়ে বড়পর্দায় টানা পাঁচটি ছবি (ব্যর্থ হল তাঁর। এমনকী ভাগ্য সাথ দেয়নি ওটিটির জগতেও। সেখানেও এখন তিনি ‘ফ্লপমাস্টার’। ২০২১ সালে করোনা লকডাউন ওঠার পর একমাত্র ‘সূর্যবংশী’ ছাড়া ফ্লপ আখ্যা পেয়েছে অক্ষয় কুমারের বাকি ছবিগুলি। এতদিন সেই তালিকায় ছিল ‘বেল বটম’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘রামসেতু’র মতো সিনেমা। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন ‘সেলফি’। ওটিটি-তে ‘লক্ষ্মী’, ‘আতরঙ্গি রে’, ‘কাটপুতলি’র মতো ছবিগুলো একেবারেই চলেনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার মুক্তি পেয়েছিল ‘সেলফি’। যা দ্বিতীয় দিনের মাথাতেই বক্স অফিসে শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, অক্ষয়ের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে এটিই বোধহয় সবচেয়ে বড় ফ্লপ ছবি হতে চলেছে। আপাতত অলৌকিক কিছু না-ঘটলে বক্স অফিসে ‘সেলফি’-র ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না কেউই। যার ফলে বলিউডে অক্ষয় কুমারের কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। ইতিমধ্যে অক্ষয়ের একের পর এক ছবির ব্যর্থতা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। অভিনেতার দিকে প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়েছেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা। এসব শুনে মুখ খুলেছেন অক্ষয়। “আমি নিজের কেরিয়ারে কম ব্যর্থতা দেখিনি। পরপর ১৬টা ছবিও ফ্লপ হয়েছে আমার। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখন আবার সেইরকম ব্যর্থতা দেখছি। এইসময় যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন, তা হল একটা বিরতি নেওয়া। সঙ্গে দর্শকের পালস বুঝে নিজেকে বদলানো। নিজেকে ভেঙেচুরে একেবারে নতুন করে গড়তে হবে। আমার কাছে দর্শক সবসময় নতুন কিছু দেখতে চায়। কিন্তু আমি এতদিন সেটাই দিতে ব্যর্থ হয়েছি”, মত অভিনেতার।