আর বেশি দেরি নেই। ক্রমশ এগিয়ে আসছে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন। তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট-আবহে দৃঢ় জনসংযোগেই আস্থা রাখছে শাসকদল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় সফর শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ারের পর এবার বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই বীরভূম সফর গুরুতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বীরভূমে সঙ্গে মালদহে যাওয়ার কর্মসূচী রয়েছে মমতার। নবান্ন সূত্রে খবর, বইমেলার উদ্বোধন করেই তিনি প্রথমে মালদহে যাবেন। সেখান থেকে যাবেন বীরভূমে। মালদহে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে মুখ্যমন্ত্রী। সবুজ সাথীর সাইকেলও দেওয়া পরিকল্পনা রয়েছে এই কর্মসূচীতে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচীর সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে সরাসরি তুলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই আয়োজিত হয়েছে এই কর্মসূচী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। তার পর যান আলিপুরদুয়ার। সেখানে আলিপুরদুয়ার ছাড়া কোচবিহার, জলপাইগুড়ির উপভোক্তাদের হাতে সরকারি পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩০শে জানুয়ারি কলকাতা বইমেলা উদ্বোধন রয়েছে। মেলার উদ্বোধন করে ৩১শে জানুয়ারি তিনি হেলিপ্টারে মালদহের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন। ৩০শে জানুয়ারি রাজ্য মন্ত্রিসভারও একটি বৈঠক রয়েছে। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি বীরভূমে প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ওই জেলায় প্রশাসনিক সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্পে ইচ্ছুক জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারেন মমতা। এরপর ২রা জানুয়ারি কলকাতা ফিরে আসবেন তিনি। এর পর দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।