ফের সারা দেশে অগ্রণী স্থানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্প্রতি বাংলার প্রতি অনুমতি শর্ত চাপিয়েছে কেন্দ্র। আবাস প্লাস প্রকল্পের আওতায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে এক মাসের মধ্যে, অন্যথায় অন্য রাজ্যে চলে যাবে বরাদ্দ। ইতিমধ্যেই বাংলায় প্রশাসন কাজে নেমে পড়েছে। এক মাসেই বাংলার সরকার ১০ লক্ষ ৫০ হাজারটি বাড়ির অনুমোদন দিয়েছে। ৫৪ হাজার বাড়ি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, গত জুলাই-আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলি। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে লক্ষাধিক অনুমোদন এখনও বাকি পড়ে রয়েছে। বাংলাকে বঞ্চিত করার ছক কষতে গিয়ে, মহা বিড়ম্বনায় পড়েছে মোদী সরকার। বাংলাকে বিপদে ফেলতে আবাস প্লাস প্রকল্পে যে’সব শর্তের আমদানি করা হয়েছিল, তার জেরে বিপদ পড়েছে খোদ ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিই।
পাশাপাশি, আবাস প্লাসের শর্তে বলা হয়েছে যে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যাবতীয় বরাদ্দের অনুমোদন না দিতে পারলে তা অন্য রাজ্যকে দিয়ে দিতে হবে। ফলে বাধ্য হয়ে আবাস প্লাসের বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার সময়সীমা ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। ভূমিহীন উপভোক্তাদের ক্ষেত্রে সময়সীমা ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। দেশজুড়ে চলতি অর্থ বছরে ৩১শে মার্চের মধ্যে আবাস প্লাসের আওতায় ২ কোটি ৩৭ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদী সরকার। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও, অনুমোদন দিতে না পারার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শাসিত অসম, সংখ্যাটা ২.৭৯ লক্ষ। ডবল ইঞ্জিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে যথাক্রমে ১.৭৯ লক্ষ এবং ১.৪৬ লক্ষ বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১.৬৯ লক্ষ। জানা গিয়েছে, গোটা দেশে এখনও ১৩.৯২ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই বাংলার বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে নবান্ন। ৩৩ লক্ষ ৬৬ হাজার জনের নাম রয়েছে বাড়ি পাওয়ার চূড়ান্ত তালিকায়।