ফের বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করলেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। বর্তমানে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে আদালতে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল উভয়েই বিচারককে জানিয়েছেন, আর একসঙ্গে থাকবেন না তাঁরা। এ বার রাজনৈতিক সভা থেকেই সৌমিত্রকে আক্রমণ করলেন সুজাতা। তাঁর কথায়, ‘‘সৌমিত্রকে ভোটে জিতিয়ে এনে ভেবেছিলাম তিনি মানুষের কাজ করবেন। মানুষ তাঁকে কাছে পাবে। ভাবিনি তিনি ভোটে জিতে দিল্লীতে রাসলীলা আর রংরসিয়া করবেন।’’ বাঁকুড়ার কোচডিহি গ্রামে বুধবার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সভা করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেই একই জায়গায় পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সভায় বক্তৃতায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুজাতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি স্ত্রী হিসাবে কর্তব্য পালন করেছিলাম। স্বামীকে তৃণমূল ছাড়তে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু ভোটের মুখে দলবদল তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
পাশাপাশি, সৌমিত্রকে ‘ভোটপাখি’ বলেও কটাক্ষ করেন সুজাতা। তাঁর সংযোজন, ‘‘এই দলবদলু, ধান্দাবাজ সাংসদ যখন আদালতের নির্দেশে নির্বাসিত হয়েছিলেন, তখন আমি তাঁর স্ত্রী হিসাবে কর্তব্য পালন করেছিলাম। ভেবেছিলাম, তিনি মানুষের জন্য কাজ করবেন। মানুষ তাঁকে কাছে পাবে। কিন্তু তিনি ভোট এলেই আসেন, ভোট পেরোলেই চলে যান। এই ভোটপাখিকে নিজের এলাকায় ঢুকতে দেবেন না।’’ এখানেই থামেননি সুজাতা। সাংসদ সৌমিত্রকে তাঁর লোকসভা এলাকায় যাতে ঢুকতে না দেওয়া হয়, তারও আবেদন রাখেন আমজনতার কাছে। ‘‘যে নিজের স্ত্রীকে মর্যাদা দিতে পারে না, সে অন্যদেরও মর্যাদা দিতে পারে না। আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাংসদের সঙ্গে থাকতে পারলাম না। তখন নিজের দলবদলু, ধান্দাবাজ চরিত্র লুকোনোর জন্য চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে কেঁদে নাটক করে প্রকাশ্যে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন! এটাই বিজেপির চরিত্র। ওরা নারীদের সম্মান দিতে জানে না’’, জানান সৌমিত্র-জায়া।