কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন মোদী-ভক্তরা। সম্প্রতিই ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর একটি সিরিজ তৈরি করেছে। ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের সাথে নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেখানে। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে ভারতের সমাজ মাধ্যম। ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদী কোয়েশ্চেন, দ্য বিবিসি টু সিরিজ’-এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় কিছু ক্ষেত্রে ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনা দেখানো হয়েছে। বিবিসির তথ্য অনুসারে এই সিরিজটি অনুসন্ধান করেছে, কীভাবে “ভারতের মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সরকারের মনোভাব অবিরাম অভিযোগে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে” এবং এটি “এই অভিযোগগুলির পিছনের সত্যতার তদন্ত করেছে এবং অন্যান্য প্রশ্নগুলি অন্বেষণ করতে এবং ভারতের বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে তাঁর রাজনীতি সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদীর নেপথ্যর কাহিনী যাচিয়ে দেখেছে। বিগত ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়নে মোদীর ভূমিকা সম্পর্কে দাবিগুলি নিয়েও অনুসন্ধান চালিয়েছে উক্ত সিরিজটি।
স্বভাবতই, মোদীভক্ত টুইটার ব্যবহারকারীরা সিরিজটি ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। একজন টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন বিবিসি নিজের দেশ নিয়ে কাজ করুক, যেমন ‘ইউকে : দ্য চার্চিল কোয়েশ্চেন’ দিয়ে সিরিজ বানাক, যেখানে ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষকে হাইলাইট করা হোক, যেখানে প্রত্যক্ষ ও নথিভুক্ত আদেশ দ্বারা লক্ষ লক্ষ লোক মারা গেছে।কেউ আবার মন্তব্য করেছে যে, এই সিরিজের উদ্দেশ্য আসলে আসন্ন ২০২৪ সালের নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত এবং ভারতের শহুরে জনসংখ্যার পকেটকে প্রভাবিত করা বলে মনে হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন মোদীর কট্টর সর্মথকরা।