যিনি যে তল্লাটের বিধায়ক, সেই এলাকা ছেড়ে তাঁকে কাজ দেখতে যেতে হবে পাশের বিধানসভা এলাকায়। তাঁর কাজ দেখতে আসবেন অন্য কোনও বিধায়ক। আবার যিনি যে এলাকার গ্রাম প্রধান, তিনি যাবেন তাঁর পাশের এলাকায়। তাঁর এলাকায় দায়িত্ব নিয়ে আসবেন অন্য কেউ। খতিয়ান নেবেন পাশের গ্রামপ্রধানের কাজের। কোথায় কোন কাজ হয়েছে, কোথায় ফাঁকি রয়ে গিয়েছে, বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে শীর্ষনেতৃত্বকে। বিধায়ক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নতুন কাঠামোয় এবার এভাবেই জনমত নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।
‘নতুন বছর, নতুন তৃণমূল। নতুন উন্মাদনা, নতুন উদ্যম। নতুন স্বতঃস্ফূর্ততা, নতুন কর্মসূচি!’– রানাঘাটের সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলা কথাগুলো এখনও ঝরঝরে। বড় কিছু বদল না হলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন বছরের শুরুতে আপাতত এটাই হতে চলেছে নতুন তৃণমূলের নতুন কর্মসূচির প্রাথমিক ফর্মুলা।
অভিনব ভাবনার এই কর্মসূচির ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসাবে উত্তর ২৪ পরগনার একটা বিস্তীর্ণ অংশে সমীক্ষা শুরু করে দিতে বলা হয়েছে। ২ জানুয়ারি তা শুরু হওয়ার কথা। এক রাজ্যনেতার কথায়, ‘নিজে কী কাজ করেছি, সেটা লোককে বলতে গেলে অতিরঞ্জন হবেই। মানুষ যে পরিষেবা পেয়েছে, সরকারি কাজ যতটা হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের কাছে সেটা শুনবেন অন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি। তাঁর ক্ষেত্রেও একইভাবে যাচাই হবে। তাতে নিরপেক্ষতা থাকবে।’