খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। কেন্দ্র অগ্নিপথ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই তা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মোদী সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে লাইফলাইন রেলপথ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছিল হিমাচলপ্রদেশও। এবার হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মের পথের কাঁটা সেই ‘অগ্নিপথ’ই। কারণ সেনাবাহিনীতে যে রাজ্য থেকে সর্বাধিক সেনাবহিনীতে যোগ দেয় তাতে এক নম্বরে রয়েছে এই পাহাড়ি রাজ্যই। স্বাভাবিকভাবেই, চার বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পরে অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই চিন্তায় ঘুম উবেছিল হিমাচলের বহু মানুষের।
দেখা যাচ্ছে, ভোট প্রচারের সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির কোনও নেতাকেই এবার সেনাবহিনীর কথা বলে আস্ফালন করতে দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনের আগে মোদীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আপনারা যেখানেই পদ্মের প্রতীক দেখবেন, বুঝে যাবেন আপনার কাছে বিজেপি ও মোদী এসেছে।’ তাঁর দাবি ছিল, বিজেপির প্রার্থী যিনিই হোন না কেন, আসলে পদ্মশিবিরে ভোট দেওয়া মানে মোদীকেই ভোট দেওয়া। কিন্তু এত কথা বললেও অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে অন্য নেতাদের মতো খোদ মোদীর মুখেও একপ্রকার কুলুপই বলা চলে। কিন্তু তাতে হিমাচলের মানুষের মনে অগ্নিপথের বিরোধিতার আগুন পুরোপুরিভাবে নিভে গিয়েছে— এমন দাবি খোদ গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরাও করবেন না। লেলিহান শিখা দেখা না গেলেও অগ্নিপথের বিরোধিতার আগুন হিমাচলে ধিকিধিকি জ্বলছেই।