বুধবার চেন্নাই যাওয়ার সময় গুজরাতের সেতু দুর্ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের৷ তিনি বলেন ‘যাঁদের কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন সিবিআই ইডি অ্যাকশন নিচ্ছে না? সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না’।
অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশনের আমন্ত্রণে আজ, বুধবার চেন্নাই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের চেন্নাই সফরে জাতীয় রাজনীতি যে অন্যতম গুরুত্ব পেতে চলেছে, বুধবারের বৈঠক তা ইঙ্গিত দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দু’দিনের সফরের মধ্যে আজ বিকেলেই তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। এদিন বিকেলে চেন্নাই পৌঁছে সরাসরি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন মমতা৷
তিনি আরও জানান, ‘ওখানকার সরকার আর্তদের ঠিকভাবে সাহায্য করতেও পারেনি। কারণ ওখানকার সরকার রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। আমি গুজরাত যেতে চাই। কিন্তু গেলেই তো বলবে রাজনীতি করছি। জীবনের গুরুত্ব আছে, এখানে রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ নয়’৷
রবিবার সন্ধ্যায় আচমকাই ভেঙে পড়েছিল ১৪০ বছরের পুরনো এই সেতু৷ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ছ’ মাস বন্ধ ছিল মোরবি এই সেতু৷ তার পরে সেতু উদ্বোধনের মাত্র চার দিনের মধ্যে ছিঁড়ে যায় এই ঝুলন্ত সেতু৷ সেতু বিপর্যয়ের এই ঘটনার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে৷জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল৷ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি সংস্থার উপরে দায়িত্ব দিয়েই দায় সেরেছিল গুজরাত সরকার৷ সেতুতে একশো মানুষের ভার বহন ক্ষমতা থাকলেও দুর্ঘটনার সময় সেখানে প্রায় ৪০০ মানুষ ছিলেন বলে অভিযোগ৷