মানুষের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি নয়। মানবিকতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দাবি করলেন, গুজরাতের সেতু কাণ্ডের জন্য যারা দায়ী, তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই। পুরো ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করলেন মমতা।
রবিবার সন্ধেয় গুজরাতের মোরবি সাক্ষী থাকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের। মচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪১ জন। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। গুজরাত ভোটের ঠিক আগে মোরবির এই সেতু দুর্ঘটনা বিজেপির জন্য রীতিমতো অস্বস্তির কারণ। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা চাইলে বিজেপিকে আক্রমণ করে আরও কোণঠাসা করতেই পারত। ঠিক যেমনটা ২০১৬ বিধানসভা ভোটে করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৬ সালে পোস্তায় উড়ালপুল বিপর্যয়ের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘দিদি এটা অ্যাক্ট অফ গড নয়, অ্যাক্ট অফ ফ্রড। এটা রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ঈশ্বরের বার্তা’।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নিম্নমানের রাজনীতির পক্ষে নন। গুজরাত প্রসঙ্গে সাফ বলে দিলেন, ‘মোরবির দুর্ঘটনায় অনেকগুলি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এটা নিয়ে রাজনীতি করব না। এটা মানবিকতা দিয়ে দেখা উচিত’। এরপরই অবশ্য পুরো ঘটনার পুঙ্খনাপুঙ্খ তদন্ত চেয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, ‘এই ধরনের দুর্ঘটনা সব রাজ্যেই ঘটে। এতে সরকারের কিছু করার থাকে না। তবে সব সেতুর আরও বেশি বেশি অডিট হওয়া উচিত। যারা এত মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত’।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, যেসব সংস্থা এই সেতুগুলি বানায়, তারা যথাযোগ্য রক্ষণাবেক্ষণ করে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ দাবি, এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে কমিটি গড়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এরপর অবশ্য গুজরাত সরকারকে সামান্য খোঁচাও দিয়েছেন মমতা। বলে দিয়েছেন, ‘ওখানকার সরকার ভোট নিয়ে ব্যস্ত। তাই আহতদের এবং যাদের পরিবারের মানুষ মারা গিয়েছেন, তাঁদের ঠিকমতো সাহায্য করতে পারেনি’।