বিজেপির থাবা এড়াতে নিজের রাজ্যকেও নিরাপদ মনে করছে না ঝাড়খণ্ডের শাসক জোট। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চা-সহ জোটের বিধায়কদের নিয়ে এবার পড়শি বন্ধু-রাজ্য ছত্তীসগড়ের রাজধানী রায়পুরে রওনা হচ্ছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাঁচি বিমান বন্দর থেকে রায়পুরের দিকে উড়ে যাবে ভাড়া নেওয়া ইন্ডিগোর বিমান। সেখানে একটি হোটেলে রাখা হবে বিধায়কদের। এই ব্যাপারে যাবতীয় সহায়তা করছে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস সরকারে শরিক। রাঁচি ছাড়ার আগের মন্ত্রী, বিধায়কেরা লোটাকম্বল নিয়ে একে একে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হচ্ছেন। সেখান থেকে বিধায়কদের বাসে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। রায়পুর বিমানবন্দরেও বিধায়কদের আগমনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিধায়কদের বিমানবন্দর থেকে বাসে করে নয়া রায়পুরের মেফেয়ার রিসোর্টে নিয়ে রাখা হবে। লাভদায়ক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে মুখ্যমন্ত্রী সরেনের বিধায়ক পদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল। এখন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।
জেএমএম-এর অভিযোগ, কমিশন ইচ্ছে করে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে যাতে বিজেপি বিধায়ক কেনার সময় পায়। সরেনের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া মাত্র বিজেপি ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়তে ঝাঁপাবে বলে শাসক জোটের আশঙ্কা। ৮০ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম-সহ শাসক ইউপিএ জোটের সঙ্গে আছেন ৫০ বিধায়ক। অন্যদিকে, বিজেপি ও তাদের সহযোগী দলের মোট বিধায়ক ৩০। সরকার গড়ার জন্য চাই ৪১ বিধায়কের সমর্থন। অভিযোগ বিজেপি শাসক জোটের বিধায়কদের টার্গেট করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্ত বলেন, বিজেপি ঝাড়খণ্ডের সরকার কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আমরা খুব শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। এদিকে, রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই ১ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এতে জনস্বার্থে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কেন এখনও সরেনের সদস্যপদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে না? এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, বল এখনও রাজভবনের কোর্টে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে গভীর তদন্ত করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আদেশটি রাজ্যপালকে জারি করতে হবে। রাজভবনের নির্দেশের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।